এস এম জীবন:

বর্তমান সময়ে ঢাকা-৫ আসনের সকল সাধারণ মানুষ এর আস্থাভাজন যাকে বল্লেই প্রথমে নাম উঠে আসে তিনি হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে ঢাকা-৫ আসনের সকল শ্রেনীর মানুষ এর পাশে থেকে তাদের সুখ দুঃখের সঙ্গী হয়ে আছেন। ঢাকা-৫ আসনের সকল শ্রেনীর মানুষ তাদের বিপদে আপদে কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে সবসময় পাশে পান।

তিনি যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু(বি,এ) ঢাকা-৫ আসনের জনগনের পাশে দাঁড়ানো এবং সবসময় সকল ক্লান্তিলগ্নে তাদের পাশে থাকার দায়িত্ব নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি মহামারি এই করোনাভাইরাস এর দিনেও ঘরে বসে নেই, তিনি অহর্নিশ গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারগুলোর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে খাদ্য ও চিকিৎসারর ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই মহামারীর দিনেও জীবনের ঝুকি নিয়ে মাঠপর্যায়ের কাজ করে যাচ্ছেন। প্রশংগত এই কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ঢাকা-৫ সংসদীয় এলাকার বর্তমান সময়ের আলোচিত ও বিশ্বস্ত এক নাম।

উল্লেখ্য ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ আসন টি শুন্য হয়ে যায়। এই আসনের উপনির্বাচন এ কাজী মনিরুল ইসলাম মনু কে সংসদ সদস্য হিসেবে পেতে চাই ঢাকা-৫ এর সাধারণ জনগণ। এই আসনের সকল জনগণ তাদের স্বপ্ন ও ভালোবাসার মানুষটিকে সংসদ সদস্য হিসেবে তাদের পাওয়ার জন্য দিনরাত প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছেন।

কাজী মনিরুল ইসলাম মনু’র সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক পরিচিতিঃ

কাজী মনিরুল ইসলাম মনু একজন সফল রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। ১৯৬৯ এর গন অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ, ৭১ এর ৭ মার্চ এর ভাসনে জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রলীগের সাথে জড়িয়ে রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত হওয়া,১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে ডেমরা, তেজগাঁও অঞ্চলের ততকালীন এম সি হেদায়েত উল ইসলামের নেতৃত্বে ভারত গমন ,ট্রেনিং নেয়া এবং পরবর্তীতে ৮নং সেক্টরে মেজর হায়দারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে সক্রীয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন কাজী মনু।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর পরিবার সহ তাকে হত্যার প্রতিবাদে যাত্রাবাড়ী তে মিছিল বের করেন। ১৯৭৭ সালে দেশের অনুকুল রাজনৈতিক আবহাওয়ার ভিতরেও ততকালীন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়।

জামায়াত -বিএনপির ক্ষমতায় থাকা সময়ে ২০০৩ সালে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাকে ডেমরা থানার আওয়ামীলীগ এর সভাপতি দায়িত্ব দেন। সে সময়ে তিনি অনেকবার প্রতিহিংসার কারনে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটেন এবং অনেক নির্যাতন শিকার হন। ২০১৬ সালে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী তাকে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামীলীগ এর সভাপতির দায়িত্ব দেন।

বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ ঢাকা-৫ আসন থেকে হাবিবুর রহমান মোল্লার সাথে যোথভাবে তাকে মনোয়ন দিলেও পরে চূরান্তভাবে দেয়া হয় প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লাকে।

দেশের এই সংকট সময়ে প্রয়াত সংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুর পর ঢাকা-৫ আসনের জনগনের দায়িত্ব নিতে চান এই নেতা। মনিরুল ইসলাম মনু(বি,এ)কে ঘিরে ৫ আসনের জনগনের অনেক আশা এবং তার জন্য অনেক শুভকামনা তারা জানান।

এ দিকে যাত্রাবাড়ী ও ঢাকা-৫ আসনের বিভিন্ন জায়গা ও এলাকা জুড়ে তার ব্যানার, পোস্টারে ছেয়ে গেছে।চারিদিকে তাকে নিয়ে আলোড়ন তৈরি করছে সাধারণ জনগণ।

এক পর্যায়ে কথা হলে কাজী মনু বলেন,

একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও মাদকমুক্ত ঢাকা গড়ার অঙ্গীকারই আমার প্রথম কাজ। তাছাড়াও দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি মুক্ত থাকাবে ঢাকা-৫ আসন। মানুষের সেবা করাই হবে আমার প্রধান কাজ এবং সবসময় তাদের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগীতা করে যাব। সকল রাজনৈতিক নেতাদের নিয়েই হবে আমার পথচলা, যতদিন বেচে থাকি আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কে বুকে নিয়েই এগিয়ে যাব।

এ সময় ৪৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ যাত্রাবাড়ী থানা হাজী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান সুমন বলেন,

একজন সৎ ,ন্যায়নিষ্ঠাবান, শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান নেতা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং এদেশের একজন মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের হয়ে সবসময়ই অনেক ভাল ভাল কাজ করে মানুষ এর চোখে অনেক নজির স্থাপন করেছেন।

আর ঢাকা-৫ আসনের তিনি একজন যোগ্য প্রার্থী ও সকল মানুষ এর একজন আস্থাভাজন। তিনি আওয়ামীলীগকে ঘিরে অনেক কাজ করে যাচ্ছেন,যার কারণে সবাই তাকে গরীবের বন্ধু বা সাদা মনের মানুষ বলেই বিবেচিত করেন। আমরা সবসময়ই তার মঙ্গল কামনা করি এবং ঢাকা-৫ আসনের একজন অভিভাবক হিসেবে উপনির্বাচনে আমরা তাকে দেখতে চায়।