মোঃ খাইরুল ইসলাম কাইয়ুম, ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বাবুল ফরাজী ও তার পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় সাতজন আহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ ও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। আজ রবিবার পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
আওয়ামীলীগের ‘পৌর সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় উপজেলা আওয়মীলীগের সভাপতি ফায়জুর রশীদ খসরু, পৌর আওয়মীলীগ সভাপতি স্বপন সিকদারসহ নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় দুলাল সরদার এলাকার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ । কেউ জমি ক্রয় বিক্রয় করলে তাকে চাঁদা দিতে হয়। না হলে জমি দখল নিতে পারে না । সে জমিজমা সংক্রান্ত একজন শালিসদার হিসেবে নেতৃত্বে দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম বাবুলের জমি দখল ও চাঁদা দাবি করে আসছিলো। তার জমি চাঁদাবাজ দুলাল সরদার নাছির বেপারী নামে এক ব্যক্তিকে জমি দখল করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
ঘটনার দিন গত ১০ জুন আ.লীগ নেতার পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আ.লীগ নেতা বাবুল ও তার ছেলে মমতাজুল ইসলাম সবুজ, মো. মেহেদী হাসান, মেয়ে তাজিয়া সুলতানা সোমা, মেয়ে জামাই মামুন হোসেন, খাদিজা বেগম এবং তুষারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আহতদের প্রথমে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির করা হয়। পরে তাদের বরিশাল মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে বরিশালে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এ ঘটনায় মো. মেহেদি হাসান বাদী হয়ে মো. দুলাল সরদারকে প্রধান আসামী করে ৬জনকে অভিযুক্ত করে ৫/৬জন আজ্ঞত একটি মামলা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগ নেতারা এ সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, আ.লীগ নেতার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরদিকে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনায় পাল্টা মামলাও দায়ের হয়েছে । দুই মামলায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।