সৈয়দ এমরানুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দলটির গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম “আওয়ামী লীগ” করা হয়।
গত ২৩ জুন ২০২০ বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের জন্ম দিন।এই দিনটি উদযাপন করা হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।বিশ্ব যখন করোনায় ছনবিচ্ছিন্ন তখনও ভালোবাসার টানে প্রিয় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেন দলের নেতৃবৃন্দ। সকল জেলা ও উপজেলার ন্যায় কুমিল্লা দেবিদ্বারে ও পালিত হয় বিশেষ দিনটি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকালে দেবিদ্বার উপজেলা সদরে আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান হাজী মো. আবুল কাশেম ওমানীর উপস্তিতিতে উনার কার্য্যালয়ে মিলাদ, দোয়া ও কেক কাটা হয়।
এ সময় দেবিদ্বার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম চেয়ারম্যান, কুমিল্লা (উঃ) জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের প্রভাবশালী সমস্যা মোঃসাদ্দাম হোসেন,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য প্রভাষক সাইফুল ইসলাম শামিম,উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন রুবেল,পৌর আওয়ামিলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর সুমন সহ আওয়ামিলীগ, ছাত্রলীগ,যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ এর অরো অনেকে নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নবউদ্যামে সংগঠিত হয়।
জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এক নবতর সংগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় অনেক অশ্রু, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ফিরে পায় ‘ভাত ও ভোটের অধিকার’।
আজ বঙ্গবন্ধু-কন্যা, রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় সুশাসন, স্থিতিশীল অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নয়নে গতিশীলতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।