বিশেষ প্রতিনিধি :শিপন আহমেদ (কাতার)

করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ সারা বিশ্বে ব্যাপক ভাবে এই সংক্রমণ টি ছড়িয়েছে এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ গুলিতে ও ব্যাপক ভাবে ছড়িয়েছে। তবে কাতার অনেক টাই সফল হয়েছে এই সংক্রমণ মোকাবেলায় অন্যান্য দেশ গুলির চাইতে। শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল করোনা সংক্রান্ত সকল চিকিত্সা বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। বানিজ্য এলাকা সানাইয়া পঞ্চাশ দিন ছিল লকডাউন।

তবে এই লকডাউন এর মধ্যে ঐ এলাকায় সকল প্রকার খাবার পাণীয় সরবরাহ করা হয়েছে। বন্ধ করে করে দেওয়া হয়েছে সকল প্রকার পাবলিক অঞ্চল যেমন পার্ক,মার্কেট,সিনেমা,সেলুন স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মসজিদ। বাহিরে যাওয়া অত্যাবশ্যক হলে মাস্ক,হাত মোজা ও এহতেরাজ অ্যাপলিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

দলবদ্ধ ভাবে চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সচেতনতামূলক ড্রোন কেমেরা ও মাইকিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনার পরিস্থিতি যখন শীতল হতে শুরু করেছে তখন তিন ধাপে খোলা দেওয়া হবে সব কিছু এমন টাই জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে খোলে দেওয়া হয়েছে কিছু মার্কেট,পার্ক,বিভিন্ন কোম্পানি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কিছু সংখ্যক মসজিদ তবে জুম্মাহ এর নামাজ এখন ও স্থগিত আছে ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সিনেমা রেস্টুরেন্ট বিউটি পার্লার সেলুন এখন ও ব্ন্ধ রয়েছে। যা তৃতীয় ধাপে খোলে দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কাতারের সরকারের আন্তরিকতা ও বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে কাতার আজ সফল।

কাতারের এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত এর সংখ্যা ১,০৩,১২৮ জন ও তার মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৮,৯৩৪ জন । চিকিত্সাধীন অবস্থায় আছে ৪,০৪৮ জন ও মারা গিয়েছে মোট ১৪৬ জন তবে এর মধ্যে ২২ জন বাংলাদেশি নাগরিক মারা গিয়েছে।