করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগে সিলগালা করে দেয়া রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সরকারের চুক্তিনামাসহ অন্যান্য নথিপত্র তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর৷

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম দুদকের উপপরিচালক ও রিজেন্ট দুর্নীতির অনুসন্ধান কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিকীর কাছে নথিপত্র জমা দেন৷

এর আগে গত ১৩ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতাল ও এর চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এজন্য তিন সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়৷ কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেয়া, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গসহ নানা অভিযোগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের দু’টি হাসপাতালে অভিযান চালান র‌্যাব। অভিযানে গিয়ে প্রতারণার সত্যতা পায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরদিন ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং হাসপাতালের রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের দু’টি শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। অভিযানের সময় রিজেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও ব্যবস্থাপকসহ আটজনকে আটক করে পুলিশের এই এলিট ফের্সটি। ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। তাকে ধরতে তৎপর হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অবশেষে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ঢাকায় এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।