দৈনিক ভোরের সময়ের বিশেষ প্রতিনিধি ও দৈনিক খবরের আলোর বাড্ডা প্রতিনিধির উপর সন্ত্রাসী হামলা।

দৈনিক ভোরের সময়ের বিশেষ প্রতিনিধি প্রেস ইউনিটি (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) এর সদস্য মুহাম্মদ রকিবুল হাসান ও দৈনিক খবরের আলো ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ মাহমুদুল হাসান মিয়াজির উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন প্রেস ইউনিটি কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ। এছাড়া হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা সহ দৈনিক খবরের আলো পরিবার।

জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার উদয়নবাগ গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম যিনি বর্তমানে ঢাকা উত্তরার ধলি পাড়া এলাকার ৪/এ সড়কের ১০ নং বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবার করেন, আমিনুল ইসলাম প্রায় ৬য় মাস পূর্বে সাংবাদিক রকিবুল ইসলামের সহকর্মী দৈনিক খবরের আলো পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ মাহমুদুল হাসান মিয়াজী ও মোঃ তৌহিদ হৃদয়’কে ইউ.এস.বাংলা এয়ারলাইন্সে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দাবি করেন।

সাংবাদিক রকিবুল হাসানের ঢাকা মেরুল বাড্ডার বাসায় এ প্রসঙ্গে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা দেয়ার চুক্তি করে মোঃ সাইফুল ইসলাম (অশ্রু), মোঃ সাইফুল ইসলাম (অপু) ও কামাল হোসেনের উপস্থিতিতে নগদ ৩ লক্ষ্য ৮৫ হাজার টাকা আমিনুল ইসলামের হাতে সাংবাদিক রকিবুল হাসান তুলে দেন। টাকা নেয়ার সময় আমিনুল ইসলাম জামানত হিসেবে স্ট্যাম্পসহ যাবতীয় কাগজপত্র সাংবাদিক রকিবুল হাসান কে দিয়ে যায়।

৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও চাকুরী দিতে না পারায় আমিনুল ইসলামের কাছে টাকা ফেরত চায় সাংবাদিক রকিবুল হাসান। ইতিমধ্যে আমিনুল ইসলাম টাকা ফেরত দিবে বলে বেশ কয়েকটি তারিখ দেন এবং প্রতি তারিখে বিভিন্ন তাল বাহানা করে টাকা দেয়ার ব্যাপারটা এড়িয়ে যান। সম্প্রতি গত ১৮ জুন সাংবাদিক রকিবুল হাসান আমিনুল ইসলামকে ফোন দিলে সে রকিবুল হাসানকে গালমন্দ করেন। এক পর্যায়ে পরদিন অর্থাৎ ১৯ জুন আমিনুল ইসলাম সাংবাদিক রকিবুল হাসানকে তাঁর ঢাকার তুরাগ থানার ধলি পাড়া এলাকার বাসা থেকে টাকা আনতে বলেন।

সে অনুযায়ী ১৯ জুন দুপুর ১২ টায় সাংবাদিক রকিবুল হাসান ও পাওনাদাররা আমিনুলের তুরাগ থানাধীন ধলিপাড়ার বাসায় যায়। এসময় আমিনুল কৌশলে তাঁদের ঘরের মধ্যে আটকে রেখে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মারধর করেন। সাংবাদিক রকিবুল হাসান ও সাংবাদিক মোঃ মাহমুদুল হাসান মিয়াজি কে ধারালো অস্ত্র লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সাংবাদিক রকিবুল হাসান ও তাঁর সহকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় উক্ত বাড়ির কেয়ারটেকার কামাল হোসেনের সাথে সন্ত্রাসী আমিনুল ইসলামের ভালো সখ্যতা রয়েছে, কেয়ারটেকার কামাল হোসেন বলেন উক্ত আমিনুলের কাছে তিনি ম্যাচ বাসা ভাড়া বাবদ ১৩ হাজার টাকা পান অথচ এত টাকা ডিউ থাকা সত্ত্বেও উক্ত সন্ত্রাসীকে কেয়ারটেকার বাসায় বহাল তবিয়তে রেখেছে, কেয়ারটেকারের মুখের ভাষ্যমতে আমিনুল ১৩ হাজার টাকার বিপরীতে উক্ত বাড়ির কেয়ারটেকার কামাল হোসেনকে আমিনুল ৯ লক্ষ টাকার চেক দিয়ে গেছে। বিভিন্ন মানুষকে ধোকা দেয়ার জন্য যে স্টাম্প অথবা ব্যাংক চেক সন্ত্রাসী আমিনুল মানুষকে দিয়ে থাকে তা আমিনুলের অবর্তমানে কেয়ারটেকার কামাল হোসেন পরিচালনা করে থাকেন। উক্ত কেয়ারটেকার কামাল হোসেনের একটি মুদি দোকান রয়েছে সেই মুদি দোকানে প্রতারণা চক্রের কাগজপত্র চেক ও ব্যাংক স্ট্যাম্পসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জমা থাকে যা সাংবাদিকদের জেরার মুখে কেয়ারটেকার কামাল হোসেন মুখ ফসকে বলে ফেলেন।

উক্ত বাড়িটি আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা এমপি নাসিমা ফেরদৌসীর বাড়ি হওয়ায় কেয়ারটেকার কামাল হোসেন নির্ভয় নিজেই বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসী ও প্রতারক দের নিয়ে বাসা ভাড়া দিয়ে একটি প্রতারক চক্র তৈরি করেছে, উক্ত বাড়িতে বসবাস কারি প্রতারক চক্রের আরেক সদস্য সিভিল এভিয়েশন কন্টাকটার এন্ড সাপ্লাইয়ার্স ‘এম এস নাহিদ ট্রেডার্সের’এর ক্লিনার এমডি দিনার আহম্মেদ। গোপন সূত্রে জানা যায় দিনার আহম্মেদ কুষ্টিয়ার একটি সর্বহারা গ্রুপের সদস্য।

উক্ত বাড়ির মালিক আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা এমপি নাসিমা ফেরদৌসীর সাথে কেয়ারটেকার কামাল হোসেনের মুঠোফোনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কথা হয়, সাবেক এমপি নাসিমা ফেরদৌসী বলেন তার কেয়ারটেকার তাকে জানিয়েছে যে ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না, অথচ প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে ঘটনাস্থলে দেখার কথা বলেছে, কেয়ারটেকার কামাল হোসেন প্রচন্ড চতুর ব্যক্তি হওয়ায় সাবেক এমপি নাসিমা ফেরদৌসীর বাড়ি কে নিজের অপরাধের নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে সন্ত্রাসী ও প্রতারক দের নিয়ে প্রতারক চক্র তৈরি করে অপরাধের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে।

নেক্কার জনক এ হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রেস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও এস.এ টিভি কুমিল্লা প্রতিনিধি আবু মুসা এক বিবৃতিতে বলে হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। না হয় সকল সাংবাদিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে। উক্ত হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে তুরাগ থানা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দৈনিক খবরের আলো পরিবার।