বাংলাদেশের বরেণ্য আলেম ও জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববরেণ্য বহু আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদ। তাঁদের মধ্যে আছেন পাকিস্তানের শরিয়াহ আদালতের সাবেক প্রধান বিচারক আল্লামা তাকি উসমানি, মিসরের বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক আল্লামা ইউসুফ আল কারজাভি, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের প্রবীণ মুহাদ্দিস সাইয়েদ আরশাদ মাদানি, খ্যাতিমান আরব লেখক ও গবেষক ড. আলী সাল্লাবি, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের শীর্ষ নেতা সাইয়েদ মাহমুদ মাদানি প্রমুখ। তাঁরা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ও সামাজিক মাধ্যমে শোক ও সমবেদনা জানান। আল্লামা তাকি উসমানি বলেছেন, ‘মাওলানা আহমদ শফী, আল্লাহ তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করুন। তাঁর খেদমত ও অবদানগুলো শুধু বাংলাদেশেই নয়, বরং পুরো উপমহাদেশে বিস্তৃত। তাঁর স্তরের আলেম, এমন আল্লাহওয়ালা খুবই কম জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুসলিম জাতির জন্য অনেক বড় সম্পদ ছিলেন। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।’ সাইয়েদ আরশাদ মাদানি বলেন, ‘দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীব্যাপী তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক। মরহুমের ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর খেদমতের ময়দান ছিল অনেক বড়। দেশ ও জাতির জন্য তিনি নানামুখী খেদমত করেছেন। তিনি ছিলেন মুসলিম উম্মাহর ব্যথায় ব্যথিত একজন আলেম।’ আল্লামা ইউসুফ আল-কারজাভি বলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি তাঁকে ক্ষমা করুন, তাঁর প্রতি অনুগ্রহ করুন। এ মহান ব্যক্তিত্বকে সিদ্দিকের মর্যাদা দান করুন। ইল্লিইনে তাঁকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। ইসলাম ও মুসলমানের প্রতি তাঁর অবদানের সর্বোচ্চ প্রতিদান দিন।’ কাতার বিশ্ববিদল্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধিভুক্ত ইবনে খালদুন গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. নায়েফ বিন নাহার বলেছেন, ‘আল্লাহ শায়খ আহমদ শফীর মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহকে সমবেদনা জ্ঞাপনের তাওফিক দিন। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রবীণ আলেম। দীর্ঘ জীবন কোরআনের সেবায় কাটিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ জানে তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত প্রতিটি সামাজিক ইস্যুতে সরব ছিলেন। ফলে তাঁর একটি সম্মানজনক অবস্থান ছিল।’