স্বপন আহাম্মদেদ
, চুনারুঘাট প্রতিনিধি


চুনারুঘাট সীমান্তে মাদক ব্যবসায়ীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জনপ্রতিনিধি সহ সাধারণ মানুষ মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। মাদক ব্যবসায়ীরা কখন কার উপর হামলা করে সেই আতংক এখন উপজেলা বাসী। বিগত তিন মাসে চুনারুঘাট সীমান্তে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে দুইজন খুন হয়েছেন। হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন অনেক মানুষ। ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সোহেল কালাম আজাদ চৌধুরীর উপর হামলা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে এলাকা এখন উত্তপ্ত।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৩ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় দেড় টার সময় চিমটিবিল ও গুইবিল সীমান্ত ফাঁড়ির একদল বিজিবি জওয়ান আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের বগাডুবি গ্রামের জনৈক শামীমের বাড়িতে মাদকদ্রব্য মজুদ আছে মর্মে অভিযান পরিচালনা করে। বিজিবি জওয়ানরা স্থানীয় গ্রামপুলিশ আব্দুল কাদির কে সাথে নিয়ে শামীমের বাড়িতে অভিযানে নামে। এ সময় শামীম বাড়িতে ছিলেন না। অভিযানে মাদক দ্রব্য উদ্ধার হয়নি কিন্তু এই অভিযান নিয়ে শামীম, ইউপি সদস্য সোহেলকে দোষারূপ করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। ঘটনার পরদিন ইউপি সদস্য সোহেল রাত প্রায় সাড়ে ৮ টায় রাজার বাজারে আসা মাত্র ইউপি সদস্যের উপর হামলা করে শামীম ও সহযোগীরা। এ হামলায় ইউপি সদস্য সোহেল মারাত্মক জখম হন। ইউপি সদস্য সোহেল কালাম আজাদ চৌধুরী বলেন, হামলাকারীরা তার মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয় এবং ৯ হাজার পাঁচশত টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে।
এর আগে ২৫ মে আহ্মেদাবাদ ইউনিয়নের বগাডুবী গ্রামের কিশোর রাব্বিকে মাদক ব্যবসায়ীরা খুন করে। ২ এপ্রিল ও ৩ সেপ্টেম্বর সীমান্তে ভারতীয় চোরাই গরু পাচারের সময়, বিএসএফের গুলিতে তিনজন গরু ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়। ৬ সেপ্টেম্বর বাল্লা সীমান্তের ট্যাকেরঘাট গ্রামের দুই দল চোরাকারবারির মধ্যে সংঘর্ষে সৃষ্ট এক সংঘর্ষে ইয়াকুত নামের এক চোরাকারবারি নিহত হয়।
সর্বশেষ ইউপি সদস্যের উপর চোরাকারবারীদের হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় সচেতন মানুষজন ইউপি সদস্যের ওপর হামলার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। এলাকাবাসী শনিবার রাজার বাজার নামক স্থানে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আহম্মদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান সনজু চৌধুরী বলেন, একজন ইউপি সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা খুবই নেক্কারজনক। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন। সোহেল মেম্বারের উপর হামলাকারী শামীম বলেন, ইউপি সদস্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার বাড়িতে বিজিবি পাঠিয়েছেন। তিনি মাদক ব্যবসায় জড়িত নয় বলে দাবি করেন। চুনারুঘাট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা চম্পক দাম বলেন, ইউপি সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।