মোঃ আব্দুল হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার, সিলেট
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কাচুয়া ও রাজার বাজার সংলগ্ন বালু মহাল ইজারাদার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মূল সড়কেই স্ক্যাভেটর মেশিন দিয়ে ট্রাক ও ট্রাক্টরে লোড-আনলোড করছে মহালের বালু। পরিবেশ রক্ষায় কোন প্রকার ছাউনি ছাড়াই এসব বালু বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে।
এতেকরে চুনারুঘাট বাল্লা সড়কে যানচলাচল বিঘ্ন ঘটছে পাশাপাশি কোন প্রকার পরিবেশ সুরক্ষা পদ্ধতি ও সামগ্রী ব্যবহার না করে উম্মুক্ত পরিবেশে বালু উত্তোল ও বহনে পরিববেশ বিপর্যয়সহ জনদূর্ভোগ বাড়ছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্যাপক জনগোষ্ঠির দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটছে ফলে সময়মতো সরবরাহ দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলমান থাকায় উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের অধিবাসী ব্যাবসয়ী, শিক্ষার্থী ও পথচারিরা নানাবিধ সমস্যায় ভুগছেন। বালু উত্তোলন ও সরবরাহে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল রয়েছেন তাই মুখ খুলে কেউ প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না।
সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকে রাত অবদি এই সড়কে যাতায়াত করছে অসংখ্য বালিবাহী ট্রাক ও ট্রাক্টর।
পাশের খোয়াই নদী থেকে ড্রেজার মেশিনে উত্তোলিত বালুর মহালদাররা বালু উত্তোলনের বৈধ ইজারা দেখিয়ে এরকম নানা অনিয়মের মধ্য দিয়েই তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
সড়কে বালু লোড-আনলোডের বিষয়ে কাচুয়া বালু মহালের পরিচালক পরিচয় দিয়ে সেলিম আহমেদ বলেন, ডিপু সংক্রান্ত কারণে সাময়িক সময়ের জন্য সড়কে বালু লোড-আনলোড হচ্ছে। ঢাকনা ছাড়া তাঁদের কোনো বালুবাহী যান চলাচল করে না।
চুনারুঘাট পৌরসভার মেয়র নাজিমুদ্দিন শামসুকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, ঢাকনা ছাড়া বালু পরিবহন করতে বালু মহালদারদেরকে প্রশাসন কর্তৃক নিষেধ করতে শুনেছেন। সাম্প্রতিক ঢাকনা ছাড়া পৌরসভার মধ্য দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচলের বিষয়টি তার নজরে এসেছে। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন বলে জানান তিনি ।
এবিষয়ে চুনারুঘাট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চম্পক দাম বলেন, যেকোনো ধরনের যান চলাচলের ক্ষেত্রে আইন-কানুন রয়েছে। এর ব্যতিক্রম কেউ কিছু করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি চুনারুঘাট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মিল্টন পালকে অবগত করলে তিনি বলেন, সড়কে বালু লোড-আনলোড ও পরিবহণে অনিয়মের কারণে ইতিমধ্যে এই মহালটিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দু’বার অর্থ দন্ড দেয়া হয়েছে। বালু উত্তোলনে অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন উপজেলা প্রশাসন।