শহিদুল ইসলাম শহিদ: নওগাঁ মান্দা, প্রতিনিধি।
এই মসজিদটি নির্মাণ হয় প্রায় ৪৫০ বছর আগে। আমরা অনেকেই হয়তো পাঁচ টাকার নোটের উপর একটি মসজিদের ছবি দেখেছি। সেই ছবিটি নওগাঁ জেলার ঐতিহ্যবাহী গৌরবোজ্জ্বল কুসুম্বা শাহি মসজিদ। মুর্শিদাবাদ জেলার ডি,এম শামসুর রহমানের লেখা ‘মাহিনো ‘ এর মাধ্যমে জানা যায় ,৯০৭ হিজরীতে এই দিঘি খনন কাজ শুরু হয় ৭৭.২৫ বিঘা জমির উপর প্রশস্ত দিঘির খনন কাজ শেষ হয় ৯০৯ হিজরীতে । দিঘীর পশ্চিম পাড়ে ফেলা মাটির উপর ৯১০ হিজরীতে ঐতিহ্যবাহী গৌরবোজ্জ্বল শাহী মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আলাউদ্দিন হোসেন শাহ । মসজিদটি নির্মাণ কাজ শেষ হয় ৯৬৬ হিজরীতে। মসজিদটি নির্মাণ করা হয় সম্পূর্ণ গ্রানাইট পাথর দ্বারা । মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করার জন্য পূর্বদিকে তিনটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। অতি প্রাচীন একটি মসজিদ এই মসজিদের চারুকলা ব্যতিক্রমধর্মী । এই মসজিদটি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী গৌরবোজ্জ্বল শাহি মসজিদ। এই মসজিদটি নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের পাশে এই ঐতিহ্যবাহী শাহি মসজিদ নির্মাণ হয়েছে ।এই মসজিদটি নওগাঁ জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। এখানে প্রতিদিন প্রায় কয়েক ‘শ ‘জন দর্শনার্থী প্রতিদিনের জন্য আসে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা এই কুসুম্বা শাহি মসজিদ দেখার জন্য আসে । আবার দেশে-বিদেশে থেকে পর্যটকরাও এ মসজিদ দেখার জন্য আসে । এই মসজিদটি ছাদের উপর ২ সারিতে ৬ টি গম্বুজ আছে। এই মসজিদটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল ৫৬ বছর । দিঘি খনন ও মসজিদটি নির্মাণের সময় উত্তর দিকে বিশাল ফুল বাগান ছিল বাগানের নাম ছিল কুসুমবাগ আর কুসুমবাগ নাম থেকেই কালক্রমে এর নামকরণ করা হয় কুসুম্বা। স্থানীয় লোকের অভিযোগ,এই মসজিদে পাশে মানুষের জন্যে একটি শেড তৈরি করা হলেও এখানে বিশ্রামের জন্য ভালো বিশ্রামাগার নেই। এই মসজিদের আশেপাশে মানুষের মধ্যে ভালো কোনো শিল্পীর উদ্দীপনা থাকতে পারে ,কিন্তু এই মসজিদের অবিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে স্থানীয় লোকজন এগুলো করতে সক্ষম হচ্ছে না। আবার অনেকের মতে, এখানে ভালো কোন পর্যটন শিল্প গড়ে উঠতে পারে। যদি কোন সরকারি সহযোগিতা পাওয়া যায় তাহলে সম্ভব। এই মসজিদটি পশ্চিম পাশে ইমাজ উদ্দিন শিশু পার্ক মানুষের বিনোদনের জন্য নির্মাণের কাজ চলছে। এই শিশু পার্কটি আস্তে আস্তে বৃহৎ পরিসরে করার চিন্তাভাবনা আছে এবং এখানে ও বিনোদনের জন্য সবরকম ব্যবস্থা রাখবে বলে কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দেন। এখানে দর্শনার্থীদের জন্য বিনোদনমূলক সব ব্যবস্থা এবং সাথে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় রেস্টুরেন্ট ও রেস্ট হাউজ তৈরীর পরিকল্পনা আছে বলে শিশুপার্কের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান