পুরুষকে নয়,নষ্ট বিকারগ্রস্ত ধর্ষকদের নির্মূলের কথা বলা হচ্ছে। ধর্ষণ ও এর প্রতিবাদ, প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পী ও লাক্স তারকা শানারেই দেবী শানু ।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় দেশ। এমন ঘটনাকে কিসের সঙ্গে তুলনা করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না নেটিজেনরা। বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন অনেকে, ক্ষোভ প্রকাশ করার ভাষাও যেন খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। 

দেশে এমন একের পর এক ধর্ষণের খবর আলোচিত হচ্ছে। এসব নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কথা বলছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিত্রকর, নির্মাতারা। কথা বলছেন অভিনয়শিল্পীরাও।

শানু বলেন, ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলা নারীকে নারীবাদী আখ্যায়িত করা হয়। অথচ নারীরা তাঁদের সম্মান রক্ষার্থে পুরুষকে নয়, নষ্ট বিকারগ্রস্ত ধর্ষকদের নির্মূলের কথা বলছেন- এটাই তো পুরুষশাসিত সমাজ বুঝতে চায় না।’

এই লাক্স সুপারস্টার বলেন, ‘ধর্ষক, এক প্রকার মানসিক বিকারগ্রস্ত পশু, তাদের নির্মূল করার দায়িত্ব এখন সবার, পুরো সমাজের, রাষ্ট্রের। নতুবা আপনার মেয়েসন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত থাকতে হবে আপনাকেই! সময় এসেছে জোরালো কণ্ঠে সোচ্চার হওয়ার, কঠিন শাস্তির।’

গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তাঁর স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তাঁর সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তাঁরা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তাঁরা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।

দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল ও কালামের নৃশংস নির্যাতনের শিকার এই নারী বহুবার পায়ে ধরে বাবা ডাকলেও শেষরক্ষা হয়নি তাঁর। ছাড় পাননি ওই নারী। তাঁরা খুব নারকীয়ভাবে এই নারীর সারা শরীরে নির্যাতন করে।

এর আগে সিলেটের এমসি কলেজের হোস্টেলে গৃহব্ধূ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ রকম আলোচনা আসা, আলোচনায় না আসা নিপীড়ন নিয়েই উত্তাল দেশের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম।