স্বপন আহাম্মেদ চুনারুঘাটঃ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আইপিএল কিংবা বিশেষ টুর্নামেন্ট, ইউরোপিয়ান ফুটবল লীগ অথবা বিভিন্ন ক্রিকেট লীগ কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে জমজমাট বাজির খেলার জুয়া।এখন নেশার চেয়েও ভয়ংকর হয়ে গেছে এই আইপিএল নামক জুয়াটি। আর এই সমস্ত বাজিতে হেরে গিয়ে অনেক তরুন যুবক নিঃস্ব হচ্ছেন।অনেকের পরিবার ও ব্যাবসা বানিজ্য ধ্বংস হয়ে গেছে।সম্পূর্ন ভিন্ন আঙ্গিকে নিজের ঘরে অথবা কর্মস্থলে নীরব নিভৃতে একা একা নেটে-মোবাইলে বাজি খেলে কত তরুন যুবক নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে সে কাহিনী পাশের রুমের বাবা-মা,ভাই-বোন কিংবা ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তান জানেন নাহ্। নিঃস্ব হওয়ার বিষয়গুলো অতিদ্রুত প্রকাশ না পাওয়ায় গোপনে গোপনে একেক জনের ব্যাক্তিগত এবং পারিবারিকভাবে নেমে আসছে অর্থনৈতিক ধ্বস। বানিয়াচং উপজেলার বড়বাজার এলাকার কয়েকটি স্পটে এরকম বাজি খেলার প্রবনতা লক্ষ্য করা গেছে। এরমধ্যে বড়বাজারের করিম উল্লা গলির দুটি স্পট,জীপ স্ট্যান্ড,কামালখানী রোড,আদর্শ স্কুল রোড সহ বেশ কয়েকটি স্পটে আইপিএল সহ বিভিন্ন টুর্নামেন্ট কেন্দ্রিক বাজি ধরা হয়ে থাকে। এরকমই আইপিএল বাজি খেলে সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছেন জনৈক স্মর্ণ ব্যাবসায়ী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান,বড়বাজারে নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে রয়েছিল দুটি দোকান ভিটা। ব্যাবসার লেনদেনে ছিল নগদ কোটি টাকা। হঠাৎ করে দেখা যায়,ব্যাবসার টাকায় টান পড়েছে।তারপর রাতারাতি দোকান ভিটা বিক্রয় করে মানুষের পাওনা পরিশোধ করতে কুলাতে না পেরে শেষে এলাকা ছাড়া হয়ে এখন আছেন অজ্ঞাত স্থানে। এরকমই নতুন বাজারের এক ফার্মেসী ব্যাবসায়ী যুবক আইপিএল বাজি খেলে মায়ের জমানো টাকা বাজিতে হেরে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। শুধূ ওই দুই যুবকই না এরকম আরও অনেক তরুন যুবক আইপিএল বাজিতে হেরে গিয়ে ধুকছেন। এ এক অন্যরকম নেশা।নেশার ঘোরে ধুকে ধুকে নিজের সঙ্গে নিজেই করছেন প্রতারনা। কারোটা প্রকাশ পাচ্ছে আবার কারোটা প্রকাশ পাচ্ছেনা। কিন্তু থেমে নেই এই সর্বনাশা প্রবনতার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়বাজার এলাকার একজন অভিবাভক প্রশ্ন করেন কে থামাবে এই সব ছেলেদের, অভিবাভক নাকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক যুবক জানান,বাজি ধরা হয় নেটে। এই সর্বনাশা খেলা বন্ধ করতে হলে আইপিএল টুর্নামেন্ট প্রচারকারী টিভি চ্যানেলের পাশপাশি কিছু সফটওয়্যার বন্ধ করে দিতে হবে নতুবা কাজের কাজ কিছুই হবেনা। সফটওয়্যার গুলো হলো ক্রিকবাজ,ক্রিকেট এক্সচেঞ্জ,ইএসপিএন স্পোর্টস সহ আরও কিছু সফটওয়্যার। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবক জানান,যারা বাজি ধরতেছে তারাতো কেউ কাউকে চিনেনা। কিন্তু বাজি ধরা ও লেনদেনগুলো কিভাবে হয় তাতো ডিলার ছাড়া হয়না। ডিলার কারা তা প্রশাসনের অজানা থাকার কথানা। ডিলারদেরকে আটক করতে পারলেই বেরিয়ে আসবে আসল থলের বিড়াল।