স্বপন আহাম্মেদ চুনারুঘাটঃ

হবিগন্জ ডিবি পুলিশের চলমান মাদকের অভিযানে বানিয়াচং উপজেলা সদর থেকে ৫০পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ইয়াবা ব্যাবসায়ী হলো বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউপি’র কালিকাপাড়া গ্রামের মোতাব্বির মিয়ার পুত্র মোশাররফ মিয়া(২৩)। ডিবি পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়,হবিগন্জ জেলায় মাদক ব্যাবসায়ীদের মধ্যে বানিয়াচং উপজেলায়ও বেশ কয়েকজন তালিকা ভুক্ত ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক ব্যাবসায়ীর বিশাল একটি সিন্ডিকেট রয়েছে।তারা কেউ কেউ নিজের বাড়িতে অবস্হান করে আবার কেউ কেউ আত্বীয় স্বজনসহ ইয়াবাসেবীদের কাছে অবস্হান নিয়ে চালিয়ে তাদের এই অপরাধ জগতের ইয়াবা ট্যাবলেট সহ সকল প্রকারের দুই নাম্বারী ব্যাবসা। এসব ব্যাবসায়ীরা আবার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সহ পুলিশ প্রশাসনের নজরদারিতে রয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অপরাধ নিয়ত্রনে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে বানিয়াচংয়ে অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পুলিশ। গতকাল ২৯অক্টোবর বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃমানিকুল ইসলামের নির্দেশে এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে একদল ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংলগ্ন সাগর মেডিকেল হলের সামনে অভিযান চালান। তাদের এই অভিযানে উপরে উল্লেখিত গ্রেফতারকৃত ইয়াবা ব্যাবসায়ীর শরীর তল্লাশী করে ৫০পিছ ইয়াবা পেয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। সূত্রটি আরও জানান,গ্রেফতারকৃত মোশাররফ দীর্ঘদিন ধরে বানিয়াচং সদরে একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে তার বাড়ি কালিকাপাড়া এলাকা,৫/৬নং বাজার এলাকা ও তার নানার বাড়ী সদরের তকবাজখানী গ্রামে আদর্শ বাজার এলাকায় ৪/৫জনকে নিয়ে ইয়াবা ব্যাবসা করে আসছিল। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক ডিলার ও ব্যাবসায়ীর নাম জানতে পেরেছেন বলে জানান সূত্রটি। তার দেওয়া নাম গুলো তদন্ত করে দেখবেন এবং এসবের সত্যতা পেলে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে। যার কারনে তদন্তের বিষয়টি চিন্তা করে এসব নাম প্রকাশ করা যাচ্ছেনা। এদিকে গ্রেফতারকৃত মোশারফের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আগামীকাল শক্রুবার হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরন করা হবে। এদিকে একের পর এক ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক ব্যাবসায়ীকে বানিয়াচং থানা পুলিশ ও হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশকে ধন্যবাদ জানান বানিয়াচংয়ের সর্বস্তরের সচেতন সমাজের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক মহলের নেতৃবৃন্দ।পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোরদাবি করে বলেন তারা,হবিগন্জ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা সহ পুলিশ প্রশাসনসহ বানিয়াচং থানা পুলিশের কাছেও বানিয়াচংয়ের চিহ্নিত ইয়াবাসহ মাদক ব্যাবসায়ীদের নাম রয়েছে।এছাড়া মিডিয়া কর্মীদের কাছেও এসব ব্যাবসায়ীর ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়ার তথ্য প্রমান রয়েছে।তাই এসব চিহ্নিত ব্যাবসায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বানিয়াচংবাসীকে ইয়াবাসহ মাদক মুক্ত করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান। বানিয়াচং উপজেলাবাসীকে নতুন করে মাদক মুক্ত করার জন্য সকল প্রকার সহযোগীতা করার আশ্বাস প্রদানও করেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বানিয়াচং সদরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার ছোট,টোট দোকানের ব্যাবসায়ী, এলাকার মুরব্বীয়ান সর্দার প্রদানগন,স্কুল,কলেজের ছাত্র যুবকগন ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে জানাযায়,বানিয়াচং সদরের ভিতরে আরও চিহ্নিত ১৫জনের মতো ইয়াবা ব্যাবসায়ী রয়েছে। তাদের মধ্যে আবার ৪/৫জন ইয়াবার ডিলারির ব্যাবসাও করে যাচ্ছে।এমনকি এসব চিহ্নিত ব্যাবসায়ীরা বিভিন্ন থানা পুলিশ ও হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের হাতে একাধিকবার ইয়াবাসহ গ্রেফতারও হয়েছেন।এদের মধ্যে একজন আড়ালে থেকে দীর্ঘ ৪বছর ধরে ডিলারির ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সমাজের চোখে ভাল সাইনবোর্ড ফার্মেসীর ব্যাবসার আড়ালে এই মরন নেশা ইয়াবার ডিলারি করে যাচ্ছেন। এছাড়া বছর দেড় ধরে ৩জন এই ইয়াবা ব্যাবসায় যুক্ত হয়েছেন। এই ৪জন ব্যাবসায়ী ছাড়া সবাইকে ইয়াবাসহ গ্রফতার করা হয়েছিল। বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং ইউপিতে ৬ জন,২নং ইউপিতে ৪জন,৩নং ইউপিতে ৩জন ও ৪নং ইউপিতে ২জনসহ মোট ১৫জন ইয়াবা ব্যাবসায়ী ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানাগেছে এমনকি বিভিন্ন সৌর্স মারমফে এইসব ব্যাবসায়ীর ইয়াবা ব্যাবসা ও ডিলারির সত্যতা পাওয়া গেছে। এসব চিহ্নিত ব্যাবসায়ীদের মধ্যে বেশ ক’জন ডিলার,ব্যাবসায়ী গ্রেফতার এরাতে বাড়িতে রাত্রি যাপন না করে আত্বীয় স্বজন,শশুরবাড়ি,এমনকি ইয়াবা সেবনকারীদের কাছে গিয়ে অবস্থান নিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে ব্যাবসা করে যাচ্ছেন। এ-সব বিষয়েও তদন্ত করে খুব শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন হবিগঞ্জ জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।এমনটা মনে করে আবারও জোড়ালোদাবীর জানানোর পাশাপাশি আশাবাদী বানিয়াচং উপজেলাবাসী।