মোঃ আঃ হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার, সিলেট

‘সিগারেট খাওয়া থেকেই মাদক সেবনের শুরু হয়।’ বলেছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ (বিপিএম পিপিএম)।
৩ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩ ঘটিকায় চুনারুঘাট উপজেলার আমু চা বাগানের মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মাদক বিরোধী সচেতনতা মূলক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য কালে মাদকের কুফল, ভয়াবহতা, এর অভ্যাস গড়ে ওঠা এর প্রতিরোধ ইত্যাদি কল্পে তিনি বলেন, সিগারেটের অভ্যাস থেকেই মাদক সেবনের অভ্যাস শুরু হয়।


তাই মাদক সেবন রোধ করতে হলে অবশ্যই সিগারেট খাওয়া বা ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। যারা সিগারেট বা ধূমপান করে না তাদের মাদক সেবন করতেও খুব একটা দেখা যায় না। ধূমপান এবং মাদক সেবনে আর্থিক অপচয় সহ এর বিভিন্ন কুফল বর্ণনা করে তিনি সকলকে মাদক মুক্ত থাকার আহ্বান জানান।
“একটি পরিবার থেকে পুরো দেশ মাদক মুক্ত বাংলাদেশ ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবেদ চৌধুরী সনজুর সভাপতিত্বে ও চুনারুঘাট থানার ওসি তদন্ত চম্পক দাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী আশরাফ , আমু বাগানের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম, নালুয়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, ঘনশ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রানা প্রসাদ ঘোষ, মাস্টার রামেশ্বর ভৌমিক, সাবেক ইউপি মেম্বার যুবরাজ ঝরা, চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজু প্রমুখ।


উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নুরুল আমিন, ইউপি মেম্বার দুলাল ভূঁইয়া, নটবর রুদ্রপাল, চন্দ্র তাঁতী, নির্মল চন্দ্র দেব, চুনারুঘাট সাংবাদিক সমিতির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন সুমন, দপ্তর সম্পাদক শংকর শীল, সাংবাদিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জুবায়ের আলম, সাংবাদিক আবদুল হান্নান, সমাজসেবক জাকির হোসেন পলাশ। চুনারুঘাট থানার একাধিক কর্মকর্তা, চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী সহ চা শ্রমিক ও বিভিন্ন পেশার জনসাধারণ।
সভায় এসপি মোহাম্মদ উল্লাহ মাদক সেবন রোধকল্পে চা শ্রমিকদের কাছ থেকে তাদের মতামত গ্রহণ করেন।
বক্তব্যে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা বাগানকে মাদকমুক্ত রাখার অঙ্গীকার করেন।
চেয়ারম্যান সনজু চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাগানের তৈরি পাট্টার মদ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারসহ গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায় চলে যায়।
এর প্রতিরোধে তিনি পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
‘দরীদ্রতার কারণে অনেকে মাদক ব্যবসা করে ‘ এমন বক্তব্যের প্রতিত্তোরে
এসপি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, কেউ অভাবে মাদক বিক্রি করে না। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার লক্ষ্যেই মাদক ব্যবসা করে।
তিনি প্রতিটি চা-বাগানে মাদক বিরোধী সংগ্রাম, পাট্টা বিরোধী সংগ্রাম ও সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বাগান বাসিকে আহ্বান জানান।
আলোচনা শেষে চা বাগানের মাদকমুক্ত ২১ টি পরিবারের শিক্ষার্থীদের হাতে খাতা ও অভিভাবকদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন এসপি মোহাম্মদ উল্লাহ।