উল্লেখযোগ্য মডেল, অভিনেতা ও উন্নয়ন পেশাদার Rafiath Rashid Mithila #16 daysofactivism এ তার বার্তা শেয়ার করেছেন নারী ও মেয়েদের হয়রানি বন্ধে!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যের বক্তিগত জীবন এবং ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আজেবাজে কথা বলা, নারীকে উত্ত্যক্ত করা, নারীর বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) একটি ভিডিওর মাধ্যমে এ ধরণের অনলাইন হেনস্তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন বাংলাদেশী অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে মিথিলা বেশ শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।
তার কথায়, প্রত্যেকটি মানুষেরই একটি ব্যক্তিগত জীবন থাকে। সেখানে তার ভালো লাগা, খারাপ লাগা এবং নিজস্ব কিছু সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। সেই সিদ্ধান্ত যদি অন্য কারও জীবনকে প্রভাবিত না করে, তা হলে তা নিয়ে চর্চা করাটা সম্পূর্ণ অবাঞ্ছনীয়।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা অন্যের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রচণ্ড উৎসাহী। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে অন্যের বক্তিগত জীবন এবং ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আজেবাজে কুরুচিকর কথা বলতে দ্বিধা বোধ করি না। সোশ্যাল মিডিয়াতে নারীকে উত্ত্যক্ত করা, নারীর বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা, এই বিষয় থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
এখানেই থেমে যাননি সৃজিতপত্নী। অন্যকে নিয়ে ভাবনা থামিয়ে, নিজেকে নিয়ে ভাবার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এ পৃথিবীকে আরো সুন্দর করে তোলার জন্য অন্যের অনুভূতিকে প্রাধান্য দেওয়ার কথাও বলেন মিথিলা।
তবে মিথিলার এমন পোস্টেও বিতর্ক থেমে নেই। অনেকেই মিথিলাকে অন্যের সমালোচনার পূর্বে নিজেকে শুধরানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সাব্বির আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, ‘এখানে পাবলিক ফিগার সেলিব্রিটি অনেকেই আছে যাদের পাবলিক ভীষণ পজিটিভ নেয়, তিশা আপুকেই দেখেন উনারে নিয়ে তো কেউ কটাক্ষ করে না। ব্যাক্তিগত জীবন সবারই আছে, পাবলিক আপনারে উঠাবে পাবলিকই আপনার কুরুচিপূর্ণ কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করবে। অন্যকে জ্ঞান জাহির করবার পূর্বে নিজের কর্মকাণ্ড ও একটু শুধরানোর অনুরোধ রইলো।’
সবুজ নামে একজন লিখেছেন, ‘আদৌ নারী হতে পেরেছেন? হাত বদল হওয়া কুরুচিপূর্ণ মনোভাবাপন্ন একটা সস্তা লোক দেখানো পারসোনা বানিয়ে এসব ভারি কথা বলে কি বুঝাতে চান? আপনার সংসার, প্রেম সবই তো খেলার ছল,নারী আর হয়েছেন কই। হয়েছেন হাসির খোরাক, সস্তা মোটিভেশান সবার থেকেই নেওয়া যায়,আপনার থেকে মানায় না। মানুষ কারো খারাপ তখনি খেয়াল করে যখন তার ভালোটাও দেখে। আজ যারা আপনারে পঁচায় তারাই একসময় আপনারে আকাশে তুলছিলো। আপনি পারেন নাই এত খ্যাতি ধরতে, মনের শয়তানে চিমটি দিছিলো। আর আজকে আপনে হাসির খোরাক, নষ্টের উদাহরণ।’
মিথিলার পেশাগত সাফল্যের চেয়েও বেশি তার ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্কের ভাঙা-গড়া জায়গা করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাংলাদেশি গায়ক-অভিনেতা তাহসান রহমান খানের সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য ভেঙে যাওয়ার পর কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর ট্রোল, মিম ধেয়ে আসে তার দিকে। অভিনেত্রীর চরিত্র নিয়ে কুরুচিকর কথা বলতেও দ্বিধা বোধ করেনি নেটিজনদের একাংশ।