সরকারী তিতুমীর কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী “তাসলিমা বেগম রেনু ” কে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে মানববন্ধনে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক পরিবার।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে মো. জাফর (১৮) সিএমএম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের কাছে যেভাবে গণপিটুনিতে খুন হন তসলিমা রেনু, তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন তিনি।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে গ্রেপ্তার আসামি বাচ্চু (২২), মো. বাপ্পী (২৮) ও মো. শাহীনকে (২০) হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেককে চার দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেফতারদের মধ্যে মো. জাফর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত শনিবার (২০ জুলাই ) সকালে উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়েকে ভর্তি করার জন্য স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়েছেলেন রেনৃ। আর বাড়ি ফেরা হয়নি তার। ওইসময় তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে মুহূর্তের মধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে পিটুনি দিলে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনরা জানান , তাসলিমা বেগম রেনুর এক ভাই ও পাঁচ বোন। মাস্টার্স শেষ করা রেনু সবার ছোট। পড়ালেখা শেষে তিনি ঢাকায় আড়ং ও ব্র্যাকে চাকরি করেছিলেন। গত দুই বছর তিনি প্রাইভেট পড়াতেন। পারিবারিক কলহের কারণে প্রায় দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে রেনুর ডিভোর্স হয়। তাদের সংসারে তাসফিক আল মাহি (১১) ও তাসলিমা তুবা (৪) নামের দুই সন্তান রয়েছে। বিচ্ছেদের পর ছেলে বাবার সঙ্গে থাকে। আর মেয়ে মায়ের কাছে থাকতো। ল²ীপুর শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে নিহত রেনুর গ্রামের বাড়ি রায়পুর উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রামে।