ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বিগত কয়েক দিন যাবৎ কুমিল্লা শহরের রাস্তার পাশের অস্থায়ী সব দোকান এর উচ্ছেদ কাজ করছে কুমিল্লার জেলা প্রশাসন। এর আগে জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজর মীর মহোদয়ের নির্দেশনায় ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাইদের নেতৃত্বে শহরের শাসনগাছা, টমছম, ব্রীজসহ অন্যান্য এলাকার রাস্তার অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ কাজ পরিচালিত হয়েছিল। এসময় জেলা পুলিশ ও আনসারের একটি টিম উক্ত কাজে সহায়তা করেন।
টাউন হলের অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ কাজ পরিচালিত হলে কুমিল্লার মানুষের মধ্যে তৈরি হয় ভিন্ন প্রতিক্রিয়া।টাউনহল কুমিল্লার মানুষের কাছে একটা আবেগের যায়গা ও নগর বাসীর একটা মিলনমেলার স্থান। সব বয়েসিদের একই সুতায় গেথে ভার্চুয়াল জগতের শৃঙ্খল হতে বের করে বাস্তব জীবনকে উপভোগ করার সুযোগ করে দেয়ায় এই টাউনহল মাঠের ভূমিকা অনেক।
জনশ্রুতি আছে টাউন হলের একটা ঝালমুড়ি ওয়ালার কাছ থেকেও প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে নেয়া হয়। এতগুলো টি-স্টল, চটপটির দোকান, সহ বিভিন্ন প্রকার দোকানের যে সমাহার সেখান থেকে মাসে কত টাকা আসতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
সাধারাণ মানুষের প্রশ্ন এসব টাকা কোথায় যাচ্ছে বা এগুলো কি টাউন হলের ফান্ডে জমা হচ্ছে কিনা।
নগর বাসীর চায় টাউনহলে দোকান বরাদ্ধ দেয়া হোক প্ল্যান মাফিক। তাদের মতে পৃথিবির প্রায় সব দেশেই এইধরনের যায়গায় মানুষের চাহিদা মোতাবেক স্ট্রীট ফুডের ভ্যান থাকে এবং অবশ্যই তার ডিজাইন থাকে যথেষ্ট নান্দনিক।
নগর বাসীর দাবি অর্থ নেয়ার নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রনয়ন করা, এবং সেটা যেন রশিদ প্রদানের মাধ্যমে স্বচ্ছতার সাথে করা হয়।
তাছারা অনেক লোকের কর্মসংস্থানের বিষয়, পাশাপাশি টাউনহলে চা খাওয়া, আড্ডা দেয়া কেন্দ্রিক নগর বাসীর একটা সংস্কৃতি হয়ে উঠেছে।
হঠাৎ করে এটা বন্ধ হওয়াতে নাগরিক জীবনে এর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে।