নিজস্ব প্রতিনিধি
মাদক চালান র্যাবকে ধরিয়ে দেওয়ায় সুমন (২৪) নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে বাড়িতে আটক করে ক্ষতিপূরণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চুনারুঘাট উপজেলার গেরারুক গ্রামের হুরাটিলা নামক স্থানে ।
জানা যায় গত ২২ জানুয়ারি রাত আটটার সময় স্থানীয় আমুরোড বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে সুমন আহমেদকে স্থানীয় ঈদ মাঠের সামনে থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় উপজেলার গেরারুক গ্রামের মৃত ভিংরাজ জমাদারের পুত্র শাহজাহান জমাদার (৩০) ও মৃত বজলু মিয়া জমাদারের পুত্র শফিক জমাদার( ২৮)। এসময় বনগাও গ্রামের মৃত মামদ চাঁদের পুত্র মিজান মিয়া বিষয়টি জানতে পেরে তাদের সাথে কথাবার্তা বললে তারা তাকেও সঙ্গে করে নিয়ে গেরারুক হুরা টিলা নামক স্থানে একটি গৃহে আটক রাখে। এবং ইতিমধ্যে তাদের একাধিক মাদক চালান র্যাবের হাতে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তার কাছে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে। পরে মিজান সুমনের বাবা আনোয়ার মিয়াকে ফোন করলে তিনি স্থানীয় আব্দুস সালাম নামের একজনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে শাহজাহান ও শফিক তাদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করলে আনোয়ার মিয়া ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে অঙ্গীকার করলে তারা তাদেরকে মুক্ত করে দেয়। নির্ধারিত সময় মতো তাদের ক্ষতিপূরণ আদায় না করলে সুমনের বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। এই মর্মে সুমন বাদী হয়ে ২৩ জানুয়ারি চুনারুঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সুমনের বাবা জানান, বিষয়ে তিনি তার ছেলেকে নিয়ে খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছেন।
উক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা তার ছেলের বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলতে পারে। সুমন শাহজাহান ও শফিকদের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি বিষয়টিতে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ঘটনাস্থলে স্থানীয় মুরুব্বী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়াল জমাদার। বিষয়ে আওয়াল জমাদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি মোবাইল ফোনে আলাপ এর বিষয় নয়। মিজান মিয়া জানায়, সে বনগাও গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে ফেরার পথে তিনজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি দেখতে পায়। কাছে এগিয়ে গিয়ে তাদের মধ্যে কি নিয়ে ধস্তাধস্তি তাহা জানতে চাইলে তাকেও তারা মোটরসাইকেল করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। এরপর তার সামনেই সুমনকে আটক করে মাদক চালানের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। এর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমাও দিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, গত ৩ মাস আগে শফিক জমাদারের ভাই রফিক জমাদার মাদকদ্রব্যসহ র্যাবের হাতে আটক হয়ে জেলহাজতে যায়। প্রায় সপ্তাহখানেক আগে শাহজাহানের চাচাতো ভাই এমরান মাদকদ্রব্যসহ র্যাবের হাতে আটক হয়। আটকের দুইটি ঘটনার সময়ই সুমনের সহযোগিতা করার কথা স্বীকার করেন র্যাব। বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি তদন্ত চম্পক দাম বলেন, অভিযোগ হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।