রাজধানীর ধানমন্ডি লেকে মসজিদ উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ধানমন্ডি ওয়েল ফেয়ার সমিতি। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সমিতির কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সমাবেশে ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন মসজিদ কমিটি ও মুত্তয়াল্লীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি সকালে বুলডোজার দিয়ে ধানমন্ডি লেকের ভেতরে থাকা আর রহমান জামে মসজিদটি ভেঙে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। অথচ এই মসজিদে প্রতিদিন লেকে ঘুরতে আসা শতশত দর্শনার্থী নামাজ আদায় করতেন। ডিএসসিসি মুসল্লিদের এই প্রয়োজনের কথা বিবেচনা না করে মসজিদটি ভেঙে দিয়েছে। এতে মুসল্লিরা ও ধানমন্ডিবাসী ব্যথিত হয়েছে। সিটি করপোরেশন একের পর এক মসজিদ উচ্ছেদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বক্তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য সারাদেশে মসজিদ নির্মাণ করে চলেছেন। সেসব মসজিদে শুধু নামাজ আদায় নয়, ইসলামি গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তর করা হচ্ছে।
বিশ্বে এই প্রথম কোনো সরকার একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করছে। সরকার যেখানে মুসল্লিদের জন্য মসজিদ নির্মাণ করছে, সেখানে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একের পর এক মসজিদ ভেঙে চলছে। বর্তমান মেয়র আসার পর গুলিস্তানের মুক্তাঙ্গণ পার্কের ভেতরের মসজিদটিও ভেঙে দেয়া হয়। আমরা আহ্বান করব ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ যেন এই কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে। পাশাপাশি ভেঙে দেয়া মসজিদটি পুনঃস্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
মুসল্লীদের অভিযোগ, ধানমন্ডি লেক এলাকার নকশাবহির্ভূত মসজিদটির স্থাপনা গত বছর ডিসেম্বর মাসে স্থানীয় বাসিন্দা ও পার্কে আগত দশনার্থীদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা মসজিদটি নির্মাণ করে দেন। এজন্য গৃহায়ন ও গণপূর্তের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় লেকের নকশায় না থাকার অজুহাতে মসজিদটি ভেঙে দেয়া হয়েছে। অথচ লেকের মধ্যে এমন অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে যেখানে মদ, জুয়াসহ নানা অশালীন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। শুধু মসজিদটি কেনো ভেঙে দেয়া হয়েছে সেটি আমাদের বোধগম্য নয়।