মিজানুর রহমান স্বাধীন

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে, নৌকার প্রার্থী ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদারের সমর্থকদের উপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ওয়াদুদ খন্দকার টিটুর সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলায় মুন্না তালুকদারের তিন জন সমর্থক গুরুতর অাহত হয়েছে। ২২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে মুন্না তালুকদারের সর্মথকরা, টিটু খন্দকারের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে, যাওয়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন, সাহাবুদ্দিন হাওলাদারের পুত্র কাইয়ুম হাওলাদার (২৬) মৃত ফজলে অালী খানের ছেলে জহিরুল খান (৩০) (বাক প্রতিবন্ধী) মোহাম্মদ জয়দর আলী খানের ছেলে মো: জাফর খান (৩৬)।

এলাকাবাসী বলেন ২২ মার্চ দুপুরের দিকে নৌকার প্রার্থী মুন্না তালুকদারের সমর্থকরা ক্ষুদ্রকাঠীতে যাচ্ছিলেন। কিন্ত যেতে হলে টিটু খন্দকারের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। এ সময় টিটু খন্দকারের বাড়ি থেকে ১৫/২০ জন বেড়িয়ে এসে অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে মুন্না তালুকদারের সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তিন জনকে আহত করে আটকে রাখে।

এ খবর শুনে নৌকার প্রার্থী মুন্না তালুকদার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে টিটু খন্দকারের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে আটকে থাকা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নিয়ে অাসে। চেয়ারম্যান মুন্না তালুকদার ও হামলার শিকার ব্যক্তিরা বলেন, এই সশস্ত্র হামলা কারীরা হলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ ওয়াদুদ খন্দকার টিটু, মোহাম্মদ হেলাল খন্দকার, মোহাম্মদ অাদনান খন্দকার, মোহাম্মদ মিলন খন্দকার, মোহাম্মদ জুয়েল খন্দকার, মোহাম্মদ জাকির খান, মোহাম্মদ শাহিন খান সহ, বহিরাগত ভাড়াটে অজ্ঞাত নামা আরও সশস্ত্র ১০/১৫ জন ব্যক্তি।

সাবেক চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্না তালুকদার বলেন, আজকে ইউনিয়ন পরিষদে, সালিশ বিচারের, কোর্টের দিন ধার্য থাকায় পরিষদে ছিলাম। ইতিমধ্যে শুনতে পাই যে আমার সমর্থকদের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে তিন জন সমর্থক কে গুরুতর আহত করে টিটু খন্দকার আটকে রেখেছে, তাৎক্ষণিকভাবে বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিলন কে বিষয়টি অবহিত করে আমি তাৎক্ষণিক ছুটে যাই ঘটনাস্থলে। এবং আহতদেরকে উদ্ধার করে, বাকেরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠাই। চেয়ারম্যান বলেন গত নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হয়েছে। গতবারের ন্যায় এবারও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমি আশা রাখি। সর্বোপরি আমি বহিরাগত হামলাকারীদের ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এবং হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে এলাকাবাসী বলেন কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মুন্না চেয়ারম্যানের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে, উক্ত অগ্নিকাণ্ডে মুন্না তালুকদারের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় যা এলাকাবাসীর মতে এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে হামলাকারী টিটু খন্দকারের হাত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।

এলাকাবাসী আরও বলেন টিটু খন্দকারের ভাই ফাহাদ খন্দকার রাজধানীর আইডিবির এক কম্পিউটার দোকানের ৮০০০ টাকা বেতনের সাধারণ কর্মচারী থেকে মাদক ও অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে ৫-৬ বছরের মধ্যে প্রায় শত কোটি টাকা বনে যায় যার কারণে অর্থ অহংকারে এলাকার মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করেনা তাই এলাকাবাসী ফাহাদ খন্দকারের অর্থের উৎস অতি শীঘ্রই খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য আগামী ১১ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টিটু খন্দকার তার ভাই ফাহাদ খন্দকারের অর্থের ক্ষমতায় বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসী এনে বিভিন্ন ধরনের উচ্ছৃংখলতার মাধ্যমে এলাকার জনমনে ব্যাপক ভয় ভীতি সৃষ্টি করছে বলে এলাকাবাসী জানায়।