মোঃ রোমান
হিজলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইজনকে পিটিয়ে আহত করেছে একদল কিশোর। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে হিজলার জোনা মার্কেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন আন্ধারমানিক ইউনিয়নের ভংগা গ্রামের জসিম খানের ছেলে রিগ্যান খান (সাংবাদিক) এবং ইজিবাইক চালক হালিম চৌকিদার।
প্রায় দুই মাস আগের এক ঘটনায় কিশোর গ্যাং লিডার বায়েজিদের নেতৃত্বে এই হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রিগ্যান খান। রিগ্যান খান জানান, তিনি ঢাকায় থাকেন, রিগান খান বরিশাল জেলার সাংবাদিকতার দায়িত্বে রয়েছেন। । মায়ের জন্য বাজার করে দেওয়ার জন্য বাড়িতে এসেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে তার চাচাতো ভাই শাহাদাত খানকে নিয়ে মুলাদী থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে হিজলার লিটার মোড়ে পৌছলে চরপত্তনীভাঙা গ্রামের ইকরাম কাজী, ইমন নলী, বায়েজিদ, শুভ খান, হৃদয় হোসেন ও সেতুসহ ৮/১০জন কিশোর দেশি অস্র, জিআই পাইপ ও লাঠিসোটা নিয়ে পথরোধ করে।
হামলার আশঙ্কায় গাড়ি চালক ইজিবাইকটি দ্রুত চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিশোর গ্যাং দৌড়ে জোনা মার্কেট এলাকায় ইজিবাইকটি থামায়। এসময় শাহাদাত খান প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে গেলে হামলাকারীরা রিগ্যান খান ও চালক হালিম চৌকিদারকে এলোপাথারি পিটিয়ে মারাক্তক আহত করে। এসময় হামলাকারীরা ইজিবাইকটি ভাঙচুর এবং বাজারের মালামাল লুট করে।
এলাকাবাসী জানায় চরপত্তনীভাঙা গ্রামের ইকরাম কাজী, ইমন নলী, বায়েজিদ, শুভ খান, হৃদয় হোসেন ও সেতুসহ ৮/১০জন নিয়োমিত মাদক সেবন করে এবং তারা মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের সাথে জড়িত। মাদকাসক্ত হয়ে তারা এর আগেও এলাকায় এরোকম একাধিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে।
রিগ্যান খান আরও জানান, কী কারণে হামলা হয়েছে তা আমার জানা নাই। তবে শাহাদাত খান জানান, প্রায় ২ মাস আগে নেশা সেবনের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বায়েজিদের সাথে তাঁর ঝামেলা হয়েছিলো। ঘটনাটি মাউলতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে গেলে তারা মিমাংসা করে দেন। কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকে বায়েজিদ ও তার সহযোগিরা বিভিন্ন সময় শাহাদাতের ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতেও শাহাদাতের হামলার পরিকল্পনা ছিলো কিশোরদের। তাকে না পেয়ে তাঁর চাচাতো ভাই রিগ্যানকে পিটিয়ে আহত করে। ইজিবাইক চালক হালিম গাড়ি না থামানোর কারনে তাকেও পিটিয়ে আহত করেছে তারা। কিশোররা চলে গেলে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাতেই মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এব্যাপারে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া জানান, কিশোর গ্যাং এর হামলার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের মুলাদী হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। তাঁদের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।