মোঃ আব্দুল হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার, সিলেট
১২ শতাংশ পৈতৃক সম্পত্তিতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন চুনারুঘাট উপজেলার গেরারুক গ্রামের মৃত শুকুর আলী মীরের প্রতিবন্ধী পুত্র আব্দুল হাসিম মীর। এ জমি বন্টন সংক্রান্ত বিরোধের কারণে তার চাচা মৃত মফিজ আলী মীর সহ আরও ওয়ারিশদের সাথে দীর্ঘ দিন সত্ব মোকদ্দমা চলার পর আদালতের রায়ে এ জমির এক তরফা মালিকানা পান তিনি। উল্লেখিত জমিটি উপজেলার গেরারুক মোজার ৪৮ নং খতিয়ানের ১৪২ নং দাগের।
এই জমিতে বসত ঘর নির্মাণ করে হাসিম তার দিন মজুর স্ত্রী জহুর চান ও ৩ সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
গত দুই বছর আগে আচমকাই তার শাশুড়ী ( প্রথম স্ত্রী মৃত আম্বিয়া খাতুনের মা) তার দুই শালা (চুনু মিয়া ও ছাবু মিয়া) ও প্রথম স্ত্রীর পুত্র জসিম মিয়া তাদেরকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
প্রতিবন্ধী হাসিম এলাকার মুরুব্বীয়ান সহ জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হন।
এ নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়।
সালিশ বৈঠকে হাসিমের দুই শালা মৃত আলতাব আলীর পুত্র আঃ কাইয়ুম ছাবু মিয়া ও চুনু মিয়া জমিটি তাদের মা আনোয়ারা খাতুনের কাছ থেকে খরিদা সূত্রে মালিকানা রেজেস্ট্রি দলিল দেখান। যার নং ৫১৯৮/১৯ ইং। তাদের মা আনোয়ারা খাতুন জমিটি ১৯৫৯ ইংরেজি সনে ২৯৮১ নং দলিল মূলে খরিদা সূত্রে মালিক ছিলেন বলে জানান। যা তিনি রেকর্ডের মূলে গেরারুক গ্রামের মৃত আতাব উল্লাহ, মাতাব উল্লাহ ও আশরাফ উল্লাহর কাছ থেকে ক্রয় করেছিলেন বলে জানান।
বিক্রয় কালে তিনি (২৯৮১/১৯৫৯)ইং নং ভায়া দলিলের রেফারেন্স দেন ।
২৯৮১ নং দলিল সংগ্রহ করে দেখা যায়, উক্ত দলিলের ক্রেতা উলুকান্দি গদাহাসন নগর গ্রামের ছমির হোসেনের পুত্র আনজব উল্লাহ ও তার স্ত্রী গুলচান বিবি।
বিক্রেতা একই গ্রামের মুনছব উল্লাহর পুত্র নছিম উল্লাহ ।
১৯৫৯ ইং সনের ৪২০৬নং দলিল থেকে জানা যায়, জমিটি হাসিম মীরের বাবা শুকুর আলী মীর ও চাচা মফিজ আলী মীর উপজেলার গাদিশাল গ্রামের জোয়াদ উল্লাহর পুত্র হাতিম উল্লাহর কাছ থেকে খরিদ করেছিলেন।
জমিটি তাদেরই ভোগ দখলে ছিলো।
এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাদের ওয়ারিশানরাই উক্ত জমি ভোগদখল করে আসছিলো বলে জানান আশপাশের লোকজন।
এই জমিতে বসত ঘর নির্মাণ করে হাসিম তার দিন মজুর স্ত্রী জহুর চান ও ৩ সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
গত দুই বছর আগে আচমকাই তার শাশুড়ী ( প্রথম স্ত্রী মৃত আম্বিয়া খাতুনের মা) তার দুই শালা (চুনু মিয়া ও ছাবু মিয়া) ও প্রথম স্ত্রীর পুত্র জসিম মিয়া তাদেরকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
প্রতিবন্ধী হাসিম এলাকার মুরুব্বীয়ান সহ জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হন।
এ নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়।
সালিশ বৈঠকে হাসিমের দুই শালা মৃত আলতাব আলীর পুত্র আঃ কাইয়ুম ছাবু মিয়া ও চুনু মিয়া জমিটি তাদের মা আনোয়ারা খাতুনের কাছ থেকে খরিদা সূত্রে মালিকানা রেজেস্ট্রি দলিল দেখান। যার নং ৫১৯৮/১৯ ইং। তাদের মা আনোয়ারা খাতুন জমিটি ১৯৫৯ ইংরেজি সনে ২৯৮১ নং দলিল মূলে খরিদা সূত্রে মালিক ছিলেন বলে জানান। যা তিনি রেকর্ডের মূলে গেরারুক গ্রামের মৃত আতাব উল্লাহ, মাতাব উল্লাহ ও আশরাফ উল্লাহর কাছ থেকে ক্রয় করেছিলেন বলে জানান।
বিক্রয় কালে তিনি (২৯৮১/১৯৫৯)ইং নং ভায়া দলিলের রেফারেন্স দেন ।
২৯৮১ নং দলিল সংগ্রহ করে দেখা যায়, উক্ত দলিলের ক্রেতা উলুকান্দি গদাহাসন নগর গ্রামের ছমির হোসেনের পুত্র আনজব উল্লাহ ও তার স্ত্রী গুলচান বিবি।
বিক্রেতা একই গ্রামের মুনছব উল্লাহর পুত্র নছিম উল্লাহ ।
১৯৫৯ ইং সনের ৪২০৬নং দলিল থেকে জানা যায়, জমিটি হাসিম মীরের বাবা শুকুর আলী মীর ও চাচা মফিজ আলী মীর উপজেলার গাদিশাল গ্রামের জোয়াদ উল্লাহর পুত্র হাতিম উল্লাহর কাছ থেকে খরিদ করেছিলেন।
জমিটি তাদেরই ভোগ দখলে ছিলো।
এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাদের ওয়ারিশানরাই উক্ত জমি ভোগদখল করে আসছিলো বলে জানান আশপাশের লোকজন।
এদিকে, বসত ভিটা ও গৃহ হারিয়ে প্রতিবন্ধী হাসিম মীর এই বাড়িতে কয়দিন ওই বাড়িতে কয়দিন করে দিন কাটাচ্ছেন।
স্ত্রী জহুর চান ইট ভাঙ্গার কাজ করে প্রতিবন্ধী স্বামী ও সন্তানদের ভরণপোষণ যোগাচ্ছেন।
পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত হাসিম মীরের এ করুণ অবস্থায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও টাকা পয়সার অভাবে তিনি আদালতে গিয়ে মামলা করতে না পেরে বিভিন্ন মহলে সহযোগিতা কামনা করে চলেছেন।
সর্বশেষ, তিনি উল্লেখিত জমির ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে আনোয়ারা খাতুনের নামে যে নামজারি করা হয়েছে তা ভেঙে দেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার ( ভূমি) চুনারুঘাট বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। এছাড়াও আবুল হোসেন মীর এর স্ত্রী জহুর চান বাদী হয়ে আহমদাবাদ ইউনিয়নে বিট পুলিশ এর মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ চুনারুঘাট থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।