এই জাতিকে বোঝানোর সাধ্য কার? কোনো নির্দেশই তাদের কাছে থোড়াই কেয়ার! যেভাবেই হোক পুলিশকে বোকা বানিয়ে চলতে হবে।
কেউ কেউ গাড়িতে ‘জরুরি রপ্তানি কাজে নিয়োজিত’ লেখা পেপার সেঁটেছে। কেউ আবার মেয়াদোত্তীর্ণ মুভমেন্ট পাশ অথবা ফটোকপি! পুলিশকে ফাঁকি দিতে কত শত চেষ্টা!
নিম্নবিত্তদের কারও কারও বক্তব্য আরো এক কাঠি সরস। করোনা তো বড়লোকদের অসুখ, আল্লাহ মৃত্যু রাখলে কি করার আছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
আবার কিছু কিছু লোক এখনও বিশ্বাসই করতে চায় না যে, কোভিড-১৯ বলে কিছু আছে।
কেউ আত্মঘাতী হলে তাকে কে বোঝাবে? জগতের সকল বুঝই তার কাছে অবুঝের প্রলাপ! পৃথিবীর কোনো কথাই তার কানে ঢুকবে না। এমনকি তার জন্মদাতা বাবা মায়ের কথাও না। আর সরকারের নির্দেশ তো দূরের কথা!
আসলে আপনি কাকে ফাঁকি দিচ্ছেন? আপনি তো নিজের সাথেই প্রতারণা করছেন। এতকিছু দেখার পরও বুঝছেন না! আপনার সম্মুখেই প্রতিদিন কত মানুষের প্রিয়জন হারিয়ে যাচ্ছে। তাতেও কি ভয় হবে না?
আসুন, খুব জরুরি না হলে বাইরে না বের হই। অহেতুক ঘোরাঘুরি না করি। পুলিশকে ফাঁকি দিতে যেয়ে সারাজীবনের জন্য নিজে ফাঁকিতে না পড়ি।
ঘরে থাকি, মাস্ক ব্যবহার করি। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। সবাই সুস্থ থাকি।
(ফেসবুক থেকে সংগ
কাজী ওয়াজেদ আলী
লেখক : ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পল্লবী থানা, মিরপুর।