দাগনভূঞা প্রতিনিধি:

ফেনীর দাগনভূঞায় উপজেলায় ৫নং ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের এনায়েত হাজারী বাড়ীর রাহেলা বেগম (৬০), মোহসেনা খাতুন (২৭) কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন আপন মেয়ে, মেয়ের জামাই ও মেয়ের দেবর। ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মা ও ভাবী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় মা রাহেলা বেগম বাদী হয়ে মেয়ের জামাই আনিছুর রহমান রাশেদ (৩৬), মেয়ের দেবর ইসমাঈল হোসেন রাজু (২৭) ও মেয়ে জোসনা আক্তার ফেন্সী (৩৫) কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আনিছুর রহমান রাশেদ ও ইসমাঈল হোসেন রাজু উপজেলার হায়াতপুর গ্রামের বকশি মাঝি বাড়ীর আবদুল মান্নানের ছেলে।

ভুক্তভোগী রাহেলা বেগম জানান, আমার মেয়ে তার শুশুর বাড়ী লোকজনকে দাওয়াত করে খাওয়ানো ও ঈদ উপলক্ষে কাপড় চোপড় দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। বিদেশে লকডাউনের কারনে আমার ছেলের কাজ করতে পারছেনা আর টাকা পাঠাতে পারছেনা বললে আমার মেয়ে আমাকে ও আমার ছেলের বউকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি নিষেধ করলে এক পর্যায়ে আমার মেয়ের জামাই, মেয়ের দেবর ও মেয়ে আমাকে ও আমার ছেলের বউকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুশি মারতে থাকে। আমার ছেলের বউয়ের গলা থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায় ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে পানিতে ফেলে দেয়। আমাদের চিৎকার শুনে বাড়ীর লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তিনি আরো বলেন, আমার পুত্রবধু মোহসেনা খাতুন গত ২ মাস আগে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয় এবং সে সন্তান মারা যায়।

আমার মেয়ে আমার পুত্রবধুকে তলপেটে লাথি মারাতে সে গুরুতর আহত হয়। প্রতক্ষ্যদর্শী সাবেক ৭ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি মোঃ ইউসুফ ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাড়ীর মহিলার জানান, জোসনা আক্তার ফেন্সী তার মাকে ও ভাবীকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুশি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তার দেবর বেলচা দিয়ে মোহসেনা খাতুনকে আঘাত করে ও আনিছুর রহমান রাশেদসহ কিল ঘুশি মারতে থাকে। মোহসেনা খাতুন মার খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলে জোসনা আক্তার ফেন্সী তল পেটে লাথি মারতে থাকে। মার খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, এঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং অভিযুক্ত মেয়ে ও মেয়ের দেবরকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকী অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।