পিরোজপুর (ভাণ্ডারিয়া) প্রতিনিধিঃ
অদ্যকাল সোমবার (৩ মে) ভোর ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার পশ্চিম পশারীবুনিয়া গ্রামের জনি অধিকারী (২৬) ও চরখালী গ্রামের মানজুরুল ইসলাম বাপ্পী (২৩) নামের এই দুই বন্ধু মাদারীপুরের শিবচরে কাঠাঁলবাড়ি পুরাতন ঘাটে স্প্রিডবোট পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। নিহত জনি অধিকারী উপজেলার পশ্চিম পশারীবুনিয়া গ্রামের রঞ্জন অধিকারীর ছেলে আর মানজুরুল ইসলাম বাপ্পী উপজেলার চরখালী গ্রামের ওহিদুল খানের ছেলে বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন জানান।
পশারীবুনিয়া গ্রামের প্রতিবেশি স্বপন হালদার জানান, নিহত জনি অধিকারী ও তার বন্ধু জনি ঢাকা একটি কেজি স্কুলে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী করতেন। বাপ্পীকে নিয়ে জনির বড় ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্প্রিডবোটে বাড়ি আসতে গিয়ে স্প্রিডবোট পারাপারের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। জানা যায়, সকালে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে ৩১ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজারের দিকে যাচ্ছিল। বাংলাবাজার ফেরিঘাটের কাছাকাছি এলে নোঙর করা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি সজোরে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাঁতরে তীরে উঠছেন ৫ জন। তাঁদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে এক নারীর মৃত্যু হয়। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আশিকুর রহমান জানান, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট বাংলাবাজার ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিল। স্পিডবোটটি বাংলাবাজার ফেরিঘাটের পুরাতন কাঁঠালবাড়ি ঘাটের কাছাকাছি আসার পর বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ এবং পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। করোনার মহামারিরোধে সরকারঘোষিত ‘লকডাউনে’ গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশপাশি নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু অসাধু স্পিডবোটচালক অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করে আসছে।