বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি স্কুলে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ। গতকাল শনিবার এ ঘটনা ঘটে।  হামলায় হতাহতদের বেশির ভাগই ছাত্রী। সায়েদ উল শুহাদা নামের একটি স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা বের হওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। 

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এ হামলার জন্য তালেবান জঙ্গিদের দায়ী করেছেন। যদিও তালেবান তাত্ক্ষণিকভাবে হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে। এ হামলার নিন্দা করে তারা এর সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ। 

কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে শিয়া অধ্যুষিত দাস্ত-ই-বারচি জেলায় হামলাটি হয়। এটি মূলত শিয়া হাজারা সম্প্রদায় অধ্যুষিত। গত কয়েক বছরে এ এলাকায় বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছিল ইসলামিক স্টেট (আইএস)। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিবা আরিয়ান জানান, স্কুলটি ছেলে-মেয়েদের যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়। 

তবে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করেছেন অন্তত ২৫। তবে তিনি এ ঘটনার বিস্তারিত কিছু বলেননি। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আহত অবস্থায় ৪৬ জনকে হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। 
আফগানিস্তানের টোলোনিউজ টেলিভিশন চ্যানেলের ফুটেজে স্কুলটির সামনের রক্তস্নাত রাস্তার মধ্যে বই ও স্কুল ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা গেছে, হতাহতদের উদ্ধারে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হচ্ছে। 

কাবুলে ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন দেশটি থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চলছে। সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যে কাবুলে এখন কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। আফগান প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি তালেবানরা  তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে দিয়েছে। 

হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের আফগানিস্তান মিশন টুইটারে বলেছে, ‘কাবুলের দাস্ত-ই-বারচি এলাকায় ভয়ংকর এ হামলা ঘৃণ্য সন্ত্রাসবাদী কাজ। একটি গার্লস স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো হামলাটি আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের ওপর আক্রমণের শামিল।’

সূত্র : রয়টার্স।