আজ রবিবার ২৬ রমজান দিবাগত রাত পবিত্র শবেকদর বা লাইলাতুল কদরের রাত। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য শবেকদর অত্যন্ত মূল্যবান রাত। প্রতিবছর এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই রাতের বিশেষত্বকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান পৃথক বাণী দেন। শবেকদরের রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়।
গতকাল শনিবার শবেকদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে তাঁর বাণীতে বলেছেন, পবিত্র লাইলাতুল কদর মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনী। এ রাত ‘হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআন লাইলাতুল কদরে নাজিল হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘আমি কদর রাতে কোরআন নাজিল করেছি।’ তাই মুসলিম উম্মাহর কাছে শবেকদরের গুরুত্ব, তাত্পর্য ও ফজিলত অত্যধিক। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আসুন, শবেকদরের পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে এ মহামারি থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনী। সিয়াম সাধনার মাসে এ রাতে মানবজাতির পথনির্দেশক পবিত্র আল কোরআন পৃথিবীতে নাজিল হয়। পবিত্র কোরআনের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখ-শান্তির পাশাপাশি আখিরাতে মুক্তির পথ দেখায়।’ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পবিত্র রজনীতে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।’
হাদিস শরিফ অনুযায়ী, প্রতি রমজান মাসের ২০ তারিখের পর যেকোনো বিজোড় সংখ্যার রাতে শবেকদর হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে বিভিন্ন হাদিস ও অনেক উলামায়ে কেরামের বর্ণনায় ২৬ রমজানের দিবাগত রাতে শবেকদর হওয়ার সম্ভাবনাকে বেশি হিসেবে মতামত এসেছে। সে হিসেবে প্রতিবছর এই রাতে মুসলমানরা রাতব্যাপী নামাজ-কালাম পড়েন। অনেকে রাতের বেলায় প্রয়াত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন। এ ছাড়া এতিম, গরিব ও মিসকিনদের মধ্যে খাবার বিতরণও করেন অনেকে।