প্রথম আলো পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার প্রকৃত ব্যাখ্যা দাবি করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আজহার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অনুমতি ছাড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের সরকারি নথির ছবি তোলার অভিযোগে গতকাল দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।
কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম মনে করেন, দীর্ঘ সময় ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে একজন সাংবাদিককে এভাবে আটক রাখার বিষয়টি নিন্দনীয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায় যে, রোজিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা না করে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়, যা অমানবিক বলে কমিশন মনে করে। এবিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৭ মে) পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় আনা হয়।
রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ডা. শিব্বির আহমেদ উসমানী এ মামলা দায়ের করেন। সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।