মোঃ খাইরুল ইসলাম, ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পুরাতন ১১ কক্ষ বিশিষ্ট দোতলা ভবন নিলাম প্রক্রিয়ার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২৫ লাখ টাকা মুল্যের ভবনটি গুছ টেন্ডারের মাধ্যমে মাত্র সাড়ে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। একাধিক সুত্র জানা যায় যে, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পুরাতন ভবন নিলামে বিক্রির জন্য চলতি বছরের ০৩ মে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। আজ (১৮ মে) মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ হাসানাত ইউসুফ জ্যাকি, ভান্ডারিয়ার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ননী গোপাল রায় এবং জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে টেন্ডারের সিডিউল যাচাই বাছাই শেষে কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।
কিন্তু কতিপয় স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাদের পছন্দনিয় ২৬ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে গুছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে (২৬ জন ঠিকাদারকে ৬ লক্ষ টাকা বিনিময়ে ম্যানেজ করে) নিলাম ডাকা শুরু করেন। এখানে গুছ কমিটির কর্তৃপক্ষ তাদের অপছন্দের অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া থেকে বিরত রেখে স্থানীয় ঠিকাদার মেসার্স মোল্লা ভান্ডার স্বত্বাধিকারী মো. জালাল হোসেন পোদ্দারকে ৫লাখ ৩৬হাজার ৪ শত টাকায় সর্বোচ্চ দর দেখিয়ে ভবনটি নিলামে বিক্রি করা হয়। এ বিষয়ে নিলামে অংশ গ্রহন করতে ইচ্ছুক খুলনা, বরিশালের একধিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সত্তাধিকারীরা কর্তৃপক্ষের অপছন্দের হওয়ায় তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে দেখিয়ে নিলামে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখেন ।
এ ব্যাপারে মিডিয়া এন্টার প্রাইজের ঠিকাদার মোঃ জুয়েল হাওলাদার অভিযোগ করেন, আমি সময় মত নিলামে অংশ নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ঠুনকো অজুহাত দেখিয়ে আমাকে সহ একাধীক প্রতিষ্ঠানকে একটি মহল অংশ নিতে দেননি। আমি নিলামে অংশ নিতে পারলে ১২ থেকে ১৫ লাক্ষ টাকায় এ ভবনটি ক্রয় করতাম। এতে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব বাড়ত। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা রানী ধর বলেন, এভাবে অনিয়মের মাধ্যমে ভবন নিলাম প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র যদি রাজস্ব হারায় তা অনিয়ম। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে বিষয়টি নিয়ে আমার আপিল করার সুযোগ আছে।
পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ হাসানাত ইউসুফ জ্যাকি বলেন, এই নিলাম প্রক্রিয়ায় যেহেতু ২৬ টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যদি কোন তৃতীয় ব্যক্তিদের কাছে ম্যানেজ হয়ে যায় সেখানে আমাদের কি করার আছে, আমরা তো ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ভবন বিক্রয় করেছি।