মোঃ ইমন হোসেন
রাজধানীর দক্ষিণখান সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্কে থেকে আজহারুল নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর অর্ধগলিত ৭ টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মসজিদের ইমামের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ মে) ভোর ৫টার দিকে দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে ৭ টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানকে আটক করেছে র্যাব-১।
মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম। তিনি বলেন, আজহারের স্ত্রীর প্রতি কু-দৃষ্টি দিয়েছিল দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানের। বিষয়টি জানার পর ইমামকে নিষেধ করতে মসজিদে গিয়েছিলেন আজহার। সেখানেই তাকে গলা কাটেন ইমাম আব্দুর রহমান। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আজহারের মরদেহ ৭ টুকরা করা হয়। মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহের টুকরোগুলো লুকিয়ে রাখেন ইমাম। হত্যার পর সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহ রেখে নিয়মিত নামাজ পড়িয়েছেন তিনি।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া আছে, এমন অভিযোগ নিয়ে গত ১৯ মে রাতে ওই মসজিদের ইমামের কক্ষে গিয়েছিলেন আজহার। সেখানে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পশু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে আজহারকে হত্যা করা হয়। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই মসজিদের ওজুখানার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে আজহারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মসজিদটির ইমাম মাওলানা মো. আব্দুর রহমানকে (৫৪) আটক করে র্যাব। পরে র্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে ইমাম আব্দুর রহমান আজহারকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীকে র্যাব হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক। তিনি বলেন, র্যাব হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জানা যায়, ঘটনার একদিন আগে স্ত্রী আছমা তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে চলে যায়। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো সম্ভব হবে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরকীয়ার কোনো সম্পর্ক ছিলে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে লে. কর্নেল মোত্তাকিম জানান, এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পরকীয়ার সন্দেহ করা হয়েছে।
তারপড়েও আমরা যাচাই বাছাই করছি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ইমাম আব্দুর রহমান বলেছেন, আজহার তাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে এবং বলেছে তার স্ত্রীর দিকে আমি (আব্দুর রহমান) কু-দৃষ্টি দিয়েছি। এই কারণে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।