এখনো পর্যন্ত ভারতে ১১ হাজার ৭১৭ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্র প্রদেশে। বুধবার (২৬ মে) এখবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, মহারাষ্ট্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগী পাওয়া গেছে দুই হাজার ৭৭০ জন, গুজরাটে দুই হাজার ৮৫৯ জন এবং অন্ধ্র প্রদেশে শনাক্ত হয়েছে ৭৬৮ জন।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সম্পর্কে বলেছে, এটি একটি ছত্রাকের সংক্রমণ যা ‘প্রধানত এমন লোকজনকে প্রভাবিত করে যারা মেডিক্যাল সমস্যায় ভুগছেন এবং তাদের পরিবেশগত প্যাথোজেনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হ্রাস করে’। চোখ বা নাকের চারপাশে ব্যথা এবং লালভাব, জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, রক্তাক্ত বমি এবং পরিবর্তিত মানসিক অবস্থা হচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে কয়েকটি লক্ষণ।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ডায়াবেটিসের রোগীদের সব সময় তাদের ব্লাড সুগার লেভেল নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পাশাপাশি স্টেরয়েডের অপব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।

এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আরো বেশ কয়েকজন রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ অবস্থায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারসহ বিভিন্ন রাজ্য সরকার। গতকাল মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাজ্যের কোথাও কোনো মিউকরমাইকোসিসের রোগী ধরা পড়লে তা মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিসকে জানাতে হবে। রোগী কোথাকার বাসিন্দা, তার কী চিকিৎসা চলছে জানাতে হবে তাও। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে রোগটির চিকিৎসা সম্পর্কিত নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় সরকারসহ একাধিক রাজ্য এই সংক্রমণকে ১৮৯৭ সালের মহামারি আইনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার পর এই রোগের সংক্রমণের প্রবণতা বেশি। বহুক্ষেত্রে অক্সিজেনের নল থেকেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়াচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।


সূত্র : এনডিটিভি