শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ ও ক্লাস শুরু করার দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেতে অবস্থান নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত ৭ কলেজ শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এসময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন শিক্ষার্থী।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, সাত কলেজের বহু শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলে থেকে পড়াশোনা করে। করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হলও বন্ধ থাকায় অনেকেই এখন বাড়িতে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় এসব শিক্ষার্থীর সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া হলে তাদেরকে ঢাকায় এসে মেস ভাড়া করে অথবা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকতে হবে। অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থীর পক্ষেই এটি সম্ভব নয়। তাই সরাসরি পরীক্ষা নেওয়া শুরু হলে অবশ্যই কলেজের হল খুলে দিতে হবে। না হলে প্রচণ্ড বিপাকে পড়বে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে একই দাবিতে গত রবিবার (৩০ মে) রাজধানীতে মানববন্ধন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ১ জুনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানান তারা। অন্যথায় রাজপথ অচল করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে বাধ্য করা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে বারবার আশ্বাস দিয়েও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোনো প্রস্তুতি নিচ্ছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলেন, একদিনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া না হয়, তাহলে রাজপথ অচল করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুলতে বাধ্য করা হবে।
এর পর গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জোটের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত সমাবেশে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করা, হল খুলে পরীক্ষা নেওয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত টিকার আওতায় আনার দাবি জানায় প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
সমাবেশ থেকে সরকার ও প্রশাসনকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে বাধ্য করার জন্য দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।