অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হতে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেলেন সাইফুল ইসলাম সানতু। তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হিসেবে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। বিসিএস ২৭তম ব্যাচের এ কর্মকর্তা ইতোপূর্বে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পদে যথেষ্ট সুনাম ও দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করে পেশাদারিত্ব অক্ষুণ্ণ রেখেছেন।

সাইফুল ইসলাম সানতু একজন মানবিক হৃদয়সম্পন্ন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সর্বমহলে সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে যোগদানের পর “পুলিশ জনতা-জনতাই পুলিশ” এই স্লোগানের প্রকৃত মর্যাদা দিয়েছেন এ চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি যেমন মানবিক তেমনই আইন বাস্তবায়নেও কঠোর। তিনি মিডিয়াবান্ধব একজন কর্মকর্তা। গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।

২০২০ সালের মার্চ মাসে থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় তার ভূমিকা চোখে পরার মতো। হাসপাতালে আগত রোগীদের সেবায় সরকারের মাঠ পর্যায়ের একজন সম্মুখসারির যোদ্ধা হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

একজন সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধা হিসেবে মৃত্যুভয়কে জয় করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের পাশে থেকে নির্ভয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। রোগীদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলে সাহস যোগাচ্ছেন। এ বছর করোনার ২য় ধাপ মোকাবেলায় তার ভূমিকা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক ড.বেনজির আহমেদ এর নির্দেশে জীবনের অনিশ্চয়তা আর ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তার মানবিক হৃদয়কে অর্পণ করেছেন হাসপাতালে আসা আক্রান্ত রোগীদের ওপর। বিবেকের ব্যাকুলতায় আক্রান্ত রোগীদের পাশে এসে বাড়িয়েছেন সহায়তার কোমল দু’হাত। সব দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন।

তাঁর এমন আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে করোনা রোগীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। যেখানে রোগীর পরিবারের সদস্য ও আত্নীয় স্বজনরা ভয়ে হাসপাতালে আসতেন না, সেখানে তিনি তাদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছেন। এসব রোগীরা কখনও চিন্তাও করেনি উচ্চপদস্থ একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাঁদের এমন খোঁজ খবর রাখবেন। সুস্থ হয়ে বাড়ির পথ ধরে যখন রোগীরা হাসপাতাল হতে বিদায় নিচ্ছেন, তখন তিনি সুস্থ রোগীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করে বিদায় মূহুর্তকে আরও স্মরণীয় করে রেখেছেন। দিন নেই, রাত নেই রোগীদের সেবায় সারাক্ষণই ছুটে চলছেন। সবার জন্য অকাতরে কাজ করে যাচ্ছেন । নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব শেষ না করে ঘরে ফেরেন না, ছুটে যান মানুষের কাছে। করোনা সংকটে কার কি সমস্যা, খুঁজে বের করেছেন,তারপর নিজের সাধ্যমত সহায়তা করেছেন। আর এজন্য ‘মানবিক’ পুলিশ হিসেবে ইতোমধ্যে সবার কাছে পেয়েছে গ্রহণযোগ্যতা। এছাড়াও তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে সমাজের অবহেলিত দুঃস্থ মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,তার ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করছে চিকিৎসাধীন রোগীরা। ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’-খ্যাত এ চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা হচ্ছেন প্রকৃত মানবিক কর্মকর্তা ও মানুষের প্রকৃত বন্ধু। এ ধরনের কর্মকর্তাদের কর্মকান্ডে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। তাঁর এ পদোন্নতিতে সবাই আনন্দিত।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, দেশ ও মানুষের সেবা করার জন্য পুলিশে চাকরি নিয়েছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমৃত্যু দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো। একজন মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকা আমাদের সকলের কর্তব্য। বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য এখন মানবিকতার সাথে কাজ করছে। মানুষ বিপদে পরলে আগে স্মরণ করে পুলিশ, তা-ই পুলিশকেও মানবিক হওয়া উচিত।