সানাউল্লাহ, কাতার প্রতিনিধি
মধ্যপ্রাচ্যের তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ বিশ্বের সেরা ধনী দেশ কাতার একসময় ছিল সমুদ্র থেকে আহরিত মুক্তার ওপর নির্ভরশীল। সেই কথা ভাবলে এখন অবাক হতে হয়। সম্প্রতি কাতারের অবিশ্বাস্য এই সফলতার গল্প শুনিয়েছেন দেশটির প্রথম সারির বহুজাতিক কোম্পানি আলফারদানের চেয়ারম্যান হুসাইন ইবরাহিম আল ফারদান। ব্লুমবার্গের উদ্যোগে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভিডিও বক্তব্যে কাতারের মধুর অতীত স্মৃতিচারণ করেন তিনি। ‘গার্ডিয়ান অব দ্যা সি’ শিরোনামে ভিডিওটি প্রচার করা হয়। কাতার আলফারদান গ্রুপের চেয়ারম্যান ১৯৩৩ সালে জন্ম নেয়া প্রবীণ এই শিল্পপতি জানান, তাঁর বাবা সমুদ্র থেকে আহরিত মুক্তার ব্যবসা করতেন। সেকালে কাতারের প্রখ্যাত মুক্তা ব্যবসায়ী ছিল তাদের পরিবার। এই একটি মাত্র জীবিকা ছিল কাতারজুড়ে। বিশ্বের নানা দেশে কাতারের মুক্তা রপ্তানি করা হতো সেসময়।
হুসাইন ইবরাহিম আল ফারদানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কোন ধরণের মুক্তা বেশি মূল্যবান? উত্তরে তিনি জানান, যেটি বেশি গোল এবং পরিষ্কার। বা জারে এমন মুক্তা চড়া দামে বিক্রি করা যায়। এরপর জাপানের চাষকৃত মুক্তার যোগান কাতারের প্রাকৃতিক মুক্তার বাজার কমিয়ে দেয়। আল ফারদান বলেন, কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য যে এর মধ্যে আমরা তেল ও গ্যাস আবিষ্কার করতে পেরেছি।
বর্তমানে কাতারের শিল্পক্ষেত্রে অনন্য নাম আল ফারদান গ্রুপ। কাতারের সবচেয়ে বড় এই কোম্পানির জুয়েলারি, রিয়েল এস্টেট, হোটেল, ফরেন এক্সচেঞ্জ, মেরিন সার্ভিস ইত্যাদি শিল্পে সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আল ফারদান গ্রুপের। গত কয়েকবছর কাতার অবরোধের সময় আল ফারদান গ্রুপ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। কাতারের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রেখেছে গ্রুপটি।
হুসাইন ইবরাহিম বলেন, এটা ভাল যে এর মধ্যে আমরা আত্মনির্ভরশীল হতে পেরেছি। যদিও গত বছর অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলে আর জোড়া লাগানো যায় না।