নিউজনাউ ডেস্ক:
রিয়েল এষ্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(রিহ্যাব) থেকে ১ কোটি টাকা উত্তোলনের সত্যতা মিলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্তে। এসোসিয়েশনের কার্যনিবাহী কমিটির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে ওই টাকা উত্তোলন করেন রিহ্যাবের বর্তমান সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামীন। যদিও সভাপতি বলছেন, কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে এই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
তবে, বিষয়টি জানতে রিহ্যাব সভাপতি শামসুল আলামীনকে তার সেলফোন নাম্ভারে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি।
বিষয়টি নিয়ে রিহ্যাব সদস্য এমবিকে বিল্ডাস লিমিটেড এর সত্ত্বাধিকারী সাইদুল ইসলাম বাদল বানিজ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে বানিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এব্যাপারে রিহ্যাবের ব্যাখা দাবী করে।
বানিজ্য মন্ত্রণালয় এর বানিজ্য সিনিয়র সহকারী সচিব সুবর্ণা সরকার স্বাক্ষরিত লিখিত পত্রে জানা যায়, রিহ্যাব তহবিল থেকে এক কোটি টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে রিহ্যাব সংঘবিধির সংশ্লিষ্ট বিধি যথাযথভাবে অনুসরন করা হয়নি। যা তহবিল তছরুপের শামিল। এছাড়া আত্মপক্ষ সমর্থনের যথেষ্ট সুযোগ না দিয়ে তড়িঘড়ি করে রিহ্যাব সদস্য এবং ঐশী প্রপাটিজের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, এমবিকে বিল্ডাস লিমিটেড এর সত্ত্বাধিকারী সাইদুল ইসলাম বাদল এবং দীপ্তি আবাসন লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শামীমের রিহ্যাব সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে যা অবৈধ।
আর এসব বিষয়ে রিহ্যাব সভাপতির মতামত কিংবা ব্যাখা জানাতে গত ৩ ফেব্রুয়ারী বানিজ্য মন্ত্রণালয় রিহ্যাব সভাপতিকে অনুরোধ জানান। কিন্তু দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও এবিষয়ে রিহ্যাব সভাপতি কোন সদুত্তর দেননি। যার প্রেক্ষিতে পুনরায় গত ৪ মার্চ সিনিয়র সহকারী সচিব,বানিজ্য মন্ত্রণালয় সুবর্ণা সরকার চূড়ান্ত পত্র দিয়ে রিহ্যাব সভাপতি উল্লেখিত বিষয়ে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দানের নিদেশ দেন। রিহ্যাব সভাপতি দায়সারা গোছের জবাব প্রদানে সন্তুষ্ট হতে পারেনি বানিজ্য মন্ত্রণালয়। আর এসব বিষয় নিয়ে আবাসন ব্যবসায়ীদের বৃহৎ সংগঠন রিহ্যাবে চরম অসন্তোষ চলছে। তবে এবিষয়ে জানতে রিহ্যাব সভাপতি শামসুল আলামীন কাজলকে তার সেলফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।