আমার দেখা এক মানবতার ফেরিওয়ালা নাম তার আরিফুল ইসলাম নয়ন

তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি। শিক্ষাজীবন শেষ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এরপর কিছুদিন একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিল কিন্তু ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে, যার রক্তে মিশে আছে রাজনীতি যার রক্তে মিশে আছে মানুষের সেবা করা সে কি কখনো ধরাবাঁধা কোনো কর্মে থাকতে পারে। এজন্য তিনি চাকরি ছেড়ে গ্রামে চলে আসে এবং স্থানীয় রাজনীতি ও এলাকার মানুষের মধ্যমণি হয়ে ওঠে অতি অল্প সময়ে মধ্যে।

এরপর এলাকার মানুষের অনুরোধে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচন করে এবং বিপুল ভোটে জয় লাভ করে। এরপর থেকেই এলাকার রাস্তাঘাট এলাকার উন্নয়ন কোথাও কমতি রাখিনি সে। মাঝে মাঝে তাকে দেখা যায় তার এলাকায় কোন রাস্তার কাজ হলে সে নিজেই শ্রমিকদের সঙ্গে কাজে লেগে যায়। আরিফুল ইসলাম নয়ন এর সবথেকে বড় যে বিষয়টি চোখে পড়ে সেটি হল এলাকার যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার নয়ন মূলক কর্মকান্ডে তারা নিয়োজিত থাকে।

এ বিষয়ে অবশ্য আরিফুল ইসলাম নয়ন বলেন, একটি সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে এলাকার যুব সমাজের অনেক ভূমিকা রাখা উচিত এজন্য আমি আমার এলাকার যুবসমাজকে এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত রাখি, এটির আরেকটি কারণ হল এরা যেন এখন থেকেই সমাজকে ভালো কিছু দিতে পারে এই প্রত্যয় যেন ওদের মনে ধারণ করে। আরেকটি কথা বললেই নয় আরিফুল ইসলাম নয়ন এর স্ত্রী তিনিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শেষ করে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছে।

তিনি জানেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির স্ত্রী কেমন হতে হয়, তিনি সবসময় তার স্বামী আরিফুল ইসলাম নয়ন এর কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিয়ে থাকে এবং আরিফুল ইসলাম নয়ন এর মত তিনিও কর্মীদের খোঁজখবর নিয়ে থাকে শুধু তাই নয় সমাজসেবায় আরিফুল ইসলাম নয়ন এর থেকে তিনিও কম নয়। আরিফুল ইসলাম নয়ন এই নামটি তার এলাকার মানুষের মনের মধ্যে গাঁথা আছে এমনটি মনে হয় এলাকার মানুষের মুখের কথায়। রাত নেই দিন নেই এলাকার কেউ যদি কোন বিপদে পড়ে আরিফুল ইসলাম নয়ন খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হন এবং ওই পরিবার বা ওই মানুষটির বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়।

আমি যদিও তার এলাকার কেউ না তবুও আমি তার অনেক বড় এক জন ভক্ত কারণ ছোটবেলায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছি অনেক জায়গায় এ কারণে তাঁর এই কর্মকাণ্ড গুলো খুব ভালো লাগে। সবথেকে বড় যে বিষয়টি তার সঙ্গে আমার পরিচয় খোকসায় কর্মরত থাকাকালীন খোকসা উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে তিনি তার ব্যক্তিগত অফিসে কফি খাওয়ার দাওয়াত দেয় এবং যেয়ে দেখি তার অফিসে আরেকটি বড় ভাই আছে তারপর বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতে করতে এক পর্যায়ে জানতে পারি উনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিপার্টমেন্ট থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করছে।

আমি কথাটি শুনে অবাক হয়ে গেলাম এই লোকটি আজ ইচ্ছা করলে অনেক বড় চাকরি করতে পারতো কিন্তু তিনি সেটি না করে এলাকায় এসে মেম্বার গিরি করছে যাক দেশে এখনো ভালো মানুষ আছে এই ভেবে সে দিন অনেক ভালো লাগলো এবং আরিফুল ইসলাম নয়ন ভাইকে সেদিন থেকে নিজের বড় ভাইয়ের মত মনে করি। খোকসায় কর্মরত থাকা কালিন তার এলাকায় অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে আমরা গিয়েছি কিন্তু কখনো নয়ন ভাই ও আমি কে কোন পেশায় আছি এটা ভাবিনি, ভেবেছি বড় ভাই এবং ছোট ভাই এটাই ভাবছি।

আসলে আরিফুল ইসলাম নয়ন এর মত শিক্ষিত এবং যুব সমাজ যদি আমাদের দেশের রাজনীতিতে আসে তাহলে এই দুর্নীতি এই হানাহানি দাঙ্গা-হাঙ্গামা রাজনৈতিক গ্রুপ এসব নির্মূল করা সম্ভব। দেশটাকে একটি সোনার বাংলা হিসেবে রূপান্তরিত করা সম্ভব। আমরা দেশ নিয়ে না ভাবি নিজের এলাকা নিয়ে ভাবি এলাকাই শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসি তাহলে দেখা যাবে এরকম একটি দু’টি এলাকা করতে করতে একদিন দেশটাকে সোনার বাংলা হিসেবে রূপান্তরিত করা সম্ভব। আরিফুল ইসলাম নয়ন তিনি শুধু খোকসা উপজেলার নয় তিনি কুষ্টিয়া জেলার একজন মডেল তাকে অনুসরণ করা উচিত এই নতুন প্রজন্মকে এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কে।