সোহেল রানা, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি।
মালয়েশিয়ায় অবৈধ বাংলাদেশিসহ বিদেশী শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। কর্মরত কোম্পানির মালিকদের মাধ্যমে এ রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে সুযোগ নিতে পারবেন শ্রমিকেরা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দেশটির অভিবাসন বিভাগের ওয়েব সাইটে এ তথ্য জানানো হয়। মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের হাই কমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার জানান, অনিবন্ধিত শ্রমিকদের বৈধকরণের সময়সীমা গত জুন মাসের ৩০ তারিখ শেষ হয়। কিন্তু টানা লকডাউন আর বিভিন্ন জটিলতার কারণে অনেকেই এ বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় আবেদনের আওতাভুক্ত হতে পারেননি।
আমরা এ দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সময়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করি। তিনি বলেন, আমাদের সুপারিশ আমলে নিয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনঃনিবন্ধনের সময়সীমা বাড়িয়েছে মালয়েশীয় সরকার। মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত জুন মাস থেকেই মালয়েশিয়ায় অনিবন্ধিত বিদেশিদের ধড়পাকড় বেড়ে যায়। এতে অন্তত দুই শতাধিক বাংলাদেশি আটকের খবর পাওয়া যায়। তবে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি মালয়েশিয়া সরকারের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে বৈধকরণের কোনো সর্ম্পক নেই। বিভিন্ন অপরাধে বাংলাদেশিসহ অন্যদেশিরাও আটক হন। এর মধ্যে নিবন্ধন না থাকাও একটি অপরাধ।
এদিকে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, যারা রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছেন না এবং যে কোম্পানির মালিক অবৈধ শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার ১৯৫৯/৬৩ অনুচ্ছেদের ৫৫ (বি) ধারা মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো স্থানে যদি অবৈধ শ্রমিক পাওয়া যায় তাহলে মালিকপক্ষ ও কর্মচারীকে বড় অঙ্কের জরিমানাসহ এক বছরের জেল কার্যকর করা হবে। অন্য আরেকটি আইনে আছে, কোনো মালিকপক্ষ যদি পাঁচজনের বেশি অবৈধ শ্রমিক রাখে তাহলে পাঁচবছরের জেল কার্যকর হবে।
রিক্যালিব্রেশনের কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২ লাখেরও বেশি অভিবাসী নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার অভিবাসী বৈধতা নেওয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন। বাকি প্রায় ১ লাখ অবৈধ অভিবাসী নিজ দেশে ফিরে গেছেন বলে গত ১১ জুন স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন।