পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার পৌরশহরের কানুয়া গ্রামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, অদ্য সোমবার দুপুরের ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরের কানুয়া গ্রামের শিরিন মঞ্জিল থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস মুনমুন (২৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশ । নিহত মুনমুন পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে। তাদের তাসমিয়া নামের সাড়ে ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তার নিহতের স্বামী
সুমন হাওলাদার, শ্বাশুরী শিরিন বেগম, ননদ নুপুর আক্তারকে আটক করেছে।
আজ সকালে সুমন মোবাইলে মুনমুনের ছোটবোন সিনিগ্ধা কে জানায় মুনমুন দরজা খুলছে না। ভিতরে কোন সাড়াশব্দ নেই।
মুনমুনের খালা নিপা আক্তার জানান, আমার শুশুর বাড়ি ভান্ডারিয়ায়, সিনিগ্ধা আমাকে মোবাইলে জানালে আমি সুমনকে কল করি। তখন সুমন জানায় আপনারা দ্রুত আসেন, তার পরে দরজা খুলব। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পুলিশের সহযোগিতায় লাশ নামানো হয়ে গেছে।
মুনমুনের মা মমতাজ বেগম জানান, পাঁচ বছর আগে ভান্ডারিয়া পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের কানুয়া গ্রামের মোঃ সোহরাব হোসেন হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদারের সাথে মুনমুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই মুনমুনকে মারধোর করতো এবং পরকীয়া প্রেম আছে বলে জানিয়ে ছিল মুনমুন। এসময় তিনি আরো বলেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
সুমনের দুলাভাই কবির বেপারী জানান, দাম্পত্য জীবনে কলহে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলর এসে দরজা ভেঙ্গে থেকে ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার করেছে। ঘরে প্রবেশের একটিই মাত্র দরজা। এটি হত্যাকান্ড বলার কোন সুযোগ নেই।
৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মানিক হাওলাদার জানান, দরজা ভিতর থেকে দেয়া ছিলো, ভেঙ্গে আমরা ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পাই।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি আত্মহত্যা না কি হত্যা তদন্ত শেষে জানা যাবে। এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুনমুনের স্বামী সুমনকেসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
তথ্যসুত্রঃ পিরোজপুর সময়।