নিজস্ব প্রতিবেদন

জনশক্তি সেক্টর ও দেশের স্বার্থে, বৈধভাবে কর্মী প্রেরন করার পরে অর্থাৎ বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স পেয়ে যদি কোন কর্মী বিদেশ গমন করে সেটি যেন মানব পাচার আইনের বর্হিরভূত থাকে, এই ধারাটি সংযোজন পূর্বক, মানব পাচার আইনটি মহান জাতীয় সংসদে সংশোধন করার জন্য বিল উথাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও আইনটি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত মানব পাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকবৃন্দকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কতৃক হয়রানি বন্ধের দাবীতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (৩ অক্টোবর) প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে এই মানববন্ধন এর আয়োজন করে মানব পাচার মামলায় ভুক্তভোগী ও সাধারন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকবৃন্দরা।

এই সময় বক্তারা বলেন, বৈধভাবে সরকারের যথাযথ বিধিবিধান প্রতিপালন সহ বিএমইটি প্রদত্ত স্মার্ট কার্ড গ্রহন করে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা করা স্বত্বেও, মানব পাচার আইনে জামিন অযোগ্য ধারায় আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহন করে থাকে। এই কারনে অসংখ্য সম্মানিত রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকবৃন্দ ধারাবাহিক ভাবে জেল জুলুম হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়ন তথা অসংখ্য রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকবৃন্দ মানব পাচার আইনে হয়রানি হওয়ার কারনে কর্মী প্রেরনে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। ফলে কর্মী প্রেরনে সরকারের লক্ষমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানান বক্তারা।

এই সময় বক্তারা দাবী করে বলেন, বৈধ ভাবে বিএমইটি প্রদত্ত স্মার্ট কার্ড গ্রহন করে কর্মী প্রেরন কোন অবস্থায়ই মানবপাচার নয়। রিক্রুটিং এজেন্সিগন কতৃক বৈধ ভাবে ( স্মার্ট কার্ড প্রাপ্ত কর্মী) প্রেরিত, কর্মীদের রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে আনীত যে কোন অভিযোগ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন -২০১২ এর আওতা বর্হিভূত থাকবে।

উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, রাজধানী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী এম টিপু সুলতান, জান্নাত ওভারসীজ এর স্বত্বাধিকারী লিমা বেগম, গোলাম রাব্বী ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন, ফাতেমা ওভারসীজ এর স্বত্বাধিকারী কবির হোসেন, অপরাজিতা ওভারসীজ এর স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমান সহ সারা বাংলাদেশ থেকে আগত রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকবৃন্দরা।