পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বিয়ে নিয়ে বিক্ষোভের জেরে একই পরিবারের সাতজনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মতের বাইরে গিয়ে বিয়ে করার কারণে দুই কন্যা, চার নাতি ও এক জামাইকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে ওই দুই মেয়ের বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
উদ্ধারকারীদের প্রধান হুসেইন মিয়া জানান, ৬৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ, ৩৫ ও ১৯ বছর বয়সী দুই নারী, ৩,১০ ও ১২ বছর বয়সী তিন ছেলে শিশু ও ২ মাসের বাচ্চাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মনজুর হোসাইন। হত্যাকাণ্ডের শিকার দুই মেয়ের নাম ফৌজিয়া বিবি এবং খুরশিদ মাই। দুই বোন তাদের পরিবার নিয়ে ওই গ্রামের একই বাড়িতে বসবাস করতেন। পাশের গ্রামেই থাকতেন হত্যাকারী বাবা মনজুর হোসাইন।
তবে বাড়ির বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান ফৌজিয়ার স্বামী মেহবুব আহমেদ। পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি জানান, বাড়িতে আগুন লাগার সময় তিনি সেখানে ছিলেন না। খুব সকালে কাজ থেকে ফিরে বাড়িতে আগুন দেখতে পান তিনি।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮ মাস আগে বাবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে ভালোবেসে মেহবুব আহমেদকে বিয়ে করেন ফৌজিয়া বিবি। এরপর থেকেই মেয়ের ও বাবার পরিবারের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। ফৌজিয়ার বাবা অভিযুক্ত মনজুর হোসাইনও পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে বসবাস করতেন।