রাকিব হাসানঃ
গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজো এলাকায় গলাকেটে কলেজ ছাত্র তুহিন হত্যার ঘটনায় ৫ জন পেশাদার ছিনতাইকারী কে আটক করেছে সিআইডি।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ১২ই নভেম্বর রাত আনুমানিক ৮ টার সময় অটোরিকশা যোগে বাসায় ফিরছিলেন গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল মেহেদী হাসান তুহিন। তিনি গত ছয় মাস যাবৎ কোনাবাড়ীর রুনু সুপার মার্কেটে অপ্পো মোবাইলের শো-রুমে কাজ করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মত কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় ছিনতাই কারীর কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা তার মোবাইল ফোন নিতে চাইলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
ছিনতাই চক্রের সদস্যরা দৌড়ে তুহিন কে ধরে ফেলে এবং উপর্যুপুরি কুপিয়ে যখম করে। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তুহিন। উক্ত ঘটনায় মূতের বাবা মাে রফিকুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সিআইডির তদন্ত দল ঘটনার সমস্ত বিষয়াদি যাচাই করে ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্তকরে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে করে হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী- ১। মােঃ সুমন হােসেন (২৪) ২। মােঃ হযরত (২২) বালুর শ্রমিক দ্বয়কে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ এলাকাহতে গ্রেফতার করে। সিআইডির ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্য মতে ঘটনায় নেতৃত্বদানকারী ৩। মােঃ মাসুদ রানা (২২) ৪। মােঃ অলিয়ার রহমান (রাজ) ৫) মোঃ ফখরুল ইসলাম(৩৮) দের কে ছিনতাইকালে ব্যবহৃত অটোসহ ডেমরা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্ত দলের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে নিজেদের স্বীকার করে। তারা উক্ত এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় নির্দিষ্ট অটোবাইক নিয়ে গভীর রাত হতে ভাের পর্যন্ত রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীদের টার্গেটি করে ছিনতাই চালিয়ে থাকে। কেউ ছিনতাইকালে বাধা দিলে তারা তাদের সাথে থাকা ধারালাে চাপাতি, লােহার রড দিয়ে আঘাত করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের কাছ থেকে নিহত কলেজছাত্র তুহিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন টি উদ্ধার করেছে সিআইডি।