র্যাব-৪ জঙ্গিবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা, প্রতারণা এবং বিভিন্ন অপরাধে দন্ডিত অপরাধীদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ রাতে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন শেওড়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ০৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আশরাফুর রহমান উজ্জল (৪০), জেলা- টাংগাইল’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। ঘটনার বিবরণে জানা জায়, ভিকটিম তার পিতা-মাতার সাথে মিরপুর মডেল থানাধীন মনিপুর এলাকায় বসবাস করে এবং স্থানীয় স্কুলে ২য় শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। ভিকটিমের পিতা একজন রিক্সা চালক এবং মা গার্মেন্টস কর্মী। গত ০৭ মে ২০১৯ তারিখ সকালে ভিকটিমের পিতা-মাতা কাজে বের হয় ও ভিকটিম স্কুলে যায়। ভিকটিম স্কুল থেকে বাসায় আসলে পাশের রুমের ভাড়াটিয়া ধৃত আসামি আশরাফুর রহমান উজ্জল ভিকটিম’কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিকটিম’কে ভয় দেখায় যে কাউকে এই ঘটনা জানালে ভিকটিমকে প্রাণে মেরে ফেলবে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাসায় আসলে ভিকটিম’কে অসুস্থ অবস্থায় দেখে জিজ্ঞেস করলে ভিকটিমকে আসামি আশরাফুর রহমান উজ্জল ধর্ষণ করেছে বলে জানায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় গ্রেফতারকৃত আসামির নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ভিকটিমের স্বাস্থ্যগত রিপোর্ট ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত আসামির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজা ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। মামলা রুজু হওয়ার পর থানা পুলিশ কর্তৃক আসামী’কে গ্রেফতার করা হয় এবং ২ বছর ৬ মাস কারাবাস ভোগ করে। আসামি বিজ্ঞ আদালত হতে জামিন নিয়ে আর কোনদিন আদালতে হাজিরা দেয়নি এবং গত ০২ বছর ধরে ছদ্মবেশ ধারণ করে গাজীপুর, উত্তরা, টঙ্গী, বাড্ডা, রামপুরাসহ পূরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে আসছিলো। এই সময় গ্রেফতারকৃত আসামী ক্রমাগত পেশা ও অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিলো। সর্বশেষ র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।