এবার সামাজিক যোগাযোগের সকল মাধ্যমে ইসলামী বক্তা জাকির নায়েককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার উপর নিষেদ্ধাজ্ঞা দিল দেশটির প্রশাসন।
বুধবার দেশটির পুলিশ মহাপরিদর্শক দাতুক সেরি আব্দুল হামিদ এমনটি জানিয়ে বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমসহ সব প্ল্যাটফর্ম থেকেই সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে জাকির নায়েককে।’
জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে দেশটির আদালতে তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে জিহাদি কার্যক্রম উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ তে দিল্লির পক্ষ থেকে তাকে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হলেও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বিষয়টিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও সম্প্রতি জাকিরকের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঐ অভিযোগের সত্যতা পেলে দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি বাতিল হতে পারে।
পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি বলেন, ‘কেলানতানের ঘটনার পর যে কোনও ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে জাকির নায়েককে। বিষয়টি নিয়ে যেন আমরা পূর্ণ তদন্ত সম্পন্ন করতে পারি সে লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন প্রত্যেক রাজ্যের পুলিশ প্রধান জাকির নায়েকের বক্তব্যের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিষয়গুলো দেখবে।
এমন ধর্মীয় বক্তব্য ও রাজনৈতিক বিষয় চাইছি না। রাজনৈতিক বিষয়ে ধর্মীয় বক্তব্য দেওয়া ঠিক নয়। সেটা জাতীয় পর্যায় হোক কিংবা আন্তর্জাতিক বলে উল্লেখ করেন দাতুক সেরি।
রোববার মালয়েশিয়ার একটি অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, ‘ভারতীয় ও চীনাদের ফিরে যেতে বলে ড. জাকির সীমা অতিক্রম করেছেন। মালয়েশিয় ভারতীয়দের নিয়ে তার মন্তব্যও অগ্রহণযোগ্য’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ভারতের আদালতে অর্থপাচার ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে জিহাদি কার্যক্রম উদ্বুদ্ধ করার জাকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। পরে বিভিন্ন দেশ ঘুরে মালয়েশিয়ার বসবাস শুরু করেন তিনি। ২০১৮ সালে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানোর জন্য দেশটির প্রশাসন মালয়েশিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করলেও প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বিষয়টিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।