উচ্চকণ্ঠ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর মিরপুর থানা এলাকার মাদকের গডফাদারদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক খবরের আলোর স্টাফ রিপোর্টার মো: আমিন হোসাইনকে মিথ্যা মামলা দেয়া ও মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে আসছে মিরপুর থানার কুখ্যাতি মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম পাখির দ্বিতীয় স্ত্রী আজয়েরী ও মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম পাখির ভাই বাদলের স্ত্রী মুক্তা গত ২৭ আগষ্ট রোববার দুপুর ১.৫০ মিনিটে বাদলের স্ত্রী মুক্তা ফোনে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে সাংবাদিক আমিনকে।

ঐ দিনই বেলা ৩.৪০ মিনিটে সাইফুল ইসলাম পাখির দ্বিতীয় স্ত্রী আজমেরী ফোন দিয়ে মেরেফেলার ও দেখে নিবে বলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আর এ ঘটনার পর শাহআলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন তিনি। ডায়েরী নং-১২৯৯ নং ও র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব-৪) এ একটি লিখিত অভিযোগ এবং মিরপুরের উপ-পুলিশ কমিশনারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

এর আগে গত ২৫ শে আগষ্ট সরকারী মিডিয়া তালিকাভুক্ত দৈনিক খবরের আলোতে “কোন ভাবেই থামছেনা মিরপুর থানা এলাকার আজমেরী গং দের মাদক বানিজ্য” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি গোটা মিরপুর থানা এলাকায় বেপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবার (২৭ আগষ্ট) থেকে এখন পর্যন্ত নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছে আজমেরী, মুক্তা ও তাদের দেবর গালিব সিন্ডিকেটের লোকেরা। আর এই আজমেরীর ব্যপারে অনুসন্ধান করে জানাযায় এই আজমেরী পুলিশের নামধারী একজন সোর্স তার মাদক ব্যবসা চাঙ্গা রাখার জন্য সে নিয়মিত মিরপুর থানার বেশ কয়েকজন সাব-ইন্সপেক্টরের নাম বিক্রয় করে চলে বলে যানা যায়। এই আজমেরী বিশাল বড় মাদক সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে। সে অতীতে ড্যান্স করত।

বিভিন্ন জায়গায় ড্যান্স করার মাধ্যমে মাদকের বড় বড় গডফাদারদের সাথে পরিচয় হয়। তাদের নিকট থেকে পাইকারী ভাবে ইয়াবা সংগ্রহ করে বিভিন্ন স্থানে সেগুলো পাইকারী সরবরাহ করে বলে জানাযায়।

আজমেরী যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে বাস্তারা এলাকার বার ডান্সার পিংকি ওরুফে বৃষ্টি এর নিকট থেকে বিভিন্ন সময় ইয়াবা পাইকারী নিয়ে এসে সেগুলো মিরপুরের বাদলের স্ত্রী ও বাদলের ছোটভাই গালিবকে দিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিক্রয় করে আসছে বলে জানাযায়।আর এই ব্যবসায় যদি কেউ তাকে ও তার সিন্ডিকেটের কাউকে বিরক্ত করে তা হলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় বলে জানাযায়।

গত ২৭শে জুন সাইফুল ইসলাম পাখি, বাদলসহ মোট ১০ জনকে মিরপুর থানা পুলিশ ২৫০ গ্রাম হিরোইন এবং ১৫৫ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেন। সাইফুল ইসলাম পাখি, বাদলসহ এখন বেশীর ভাগ মাদক ব্যবসায়ী আইনের কাছে ধরাপড়ে জেল হাজতে রয়েছে। আর বাদলের স্ত্রী মুক্তা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে অর্থের বিনিময়ে প্রতিবেদন না করার জন্য অনুরোধ করলে সাংবাদিক আমিন সেগুলোতে রাজি না হলে দেখে নিবে বলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।বর্তমানে সাইফুল ইসলাম পাখি ও বাদলের মাদক ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রন করছে তাদেরই ছোট ভাই গালিব।

এই বিষয় শাহ আলী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো: সালা উদ্দিন মিয়া বলেন সাংবাদিকের সাধারণ ডাইরীর বিষয়টি আমি যেনেছি। তিনি নিজেও আমার নিকট এসেছিলেন। হুমকির বিষয়টি তদন্ত চলছে। ঘটনা সত্যতা প্রমানিত হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মিরপুর থানা এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদরে নিয়ে বিস্তারিত আরও দেখতে চোখ রাখুন পত্রিকায়।