স্পোর্টস রিপোর্টার ॥

নিজেদের মাঠে ২০১৬ আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছিল ভারত। সর্বশেষ ইংল্যান্ডে এ বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিতে নিউজিল্যান্ড-ধাক্কায় স্বপ্নভঙ্গ হয় বিরাট কোহলিদের। হটফেবারিট দলটির বারবার তীরে এসে তরী ডুবছে। অস্ট্রেলিয়ায় ২০২০ পরবর্তী টি২০ বিশ্বকাপের ঠিক এক বছর বাকি। এই সময়ে দেশ-বিদেশে মোট ২৫-৩০টির মতো টি২০ খেলবেন কোহলিরা। এবার আগেভাগেই দল গুছিয়ে নিতে চায় ক্রিকেটের মোড়লরা। সদ্য সমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর এবং ঘরের মাটিতে দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান সিরিজে স্কোয়াডের চেহারা দেখলেই সেটি বোঝা যায়। নিয়মিত পারফর্মারদের পাশাপাশি প্রতিটি ম্যাচেই নতুনদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ২০০৭ প্রথম টি২০ বিশ্বকাপের পর শিরোপা পুনরুদ্ধারে ঋষভ পন্থ, শ্রেয়াস আইয়ার, নবদীপ সাইনি, খলিল আহমেদরা যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন, অধিনায়ক কোহলি এবং কোচ রবি শাস্ত্রীর কথায় রয়েছে সেই ইঙ্গিত। মোহালিতে ভারত-দ. আফ্রিকা তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ আজ। ধর্মশালার প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।

কোহলি বলেন, ‘আগামী বছর টি২০ বিশ্বকাপের আগে আমরা ২৫টির বেশি ম্যাচ পাব। এখনই সময় দল গুছিয়ে নেয়ার। ভবিষ্যতের কথা বেবে দল গড়তে হবে। তরুণদের সুযোগ দিয়ে দেখা হবে কারা আগামীদিনের জন্য তৈরি।’ ভারত অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘সবাইকে পর্যাপ্ত সুযোগ দিয়ে দেখে নিতে চাই। যাদের মধ্যে মানসিক দৃঢ়তা ও সাহস লক্ষ্য করা যাবে তাদেরই বেছে নেয়া হবে আগামীদিনের জন্য।’ উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির উত্তরসূরি ভাবা হয় যাকে সেই পন্থের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কোচ শাস্ত্রী জানিয়েছেন, তাকে বুঝতে হবে ম্যাচের কোন্ পরিস্থিতিতে কি রকম ব্যাট করা উচিত। এমনকি শট নির্বাচন নিয়েও পন্থকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি, ‘ঋষভ বিধ্বংসী, অসাধারণ প্রতিভা। কিন্তু প্রতিভা ঠিকমতো কাজে লাগাতে হবে। ভারতীয় দলে শুরু থেকেই এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, কেউ নিজের স্বাভাবিক খেলার ধরন বদলাবে না। তাই বলে মাঠে নেমে যা ইচ্ছা তাই করে আউট হয়ে চলে এলেও চলবে না। সম্প্রতি খারাপ শট খেলে আউট হয়েছে ঋষভ। ওকে বুঝতে হবে দলকে সমস্যায় ফেলার অধিকার কারও নেই।’ ২০০৬ থেকে মুখোমুখি ১৩টি২০’র ৮টিতে জিতে এগিয়ে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৫ ম্যাচে। ২০১৫ সালে ভারত সফরে ২-০তে সিরিজ জিতেছিল প্রোটিয়ারা, অন্যদিকে সর্বশেষ গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আবার ২-১’এ জিতেছিল ভারতীয়রা। ব্যাটিংয়ে শিখর ধাওয়ান, তরুণ ঋষভ পন্থের কথাও আলাদা করে বলতে হবে। আছেন প্রতিভাবান মানীষ পা-ে ও শ্রেয়াস আইয়ার। টেস্টের কথা মাথায় রেখে বিশ্রামে বুমরাহ। উইন্ডিজে বল হাতে গতির ঝড় তোলা নবদীপ সাইনি, তরুণ খালেদ আহমেদ ও দীপক চাহার দারুণ করছেন। স্পিনে রাহুল চাহার, রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর টেলএন্ডে ব্যাট হাতেও কার্যকর। অন্যদিকে বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কুইন্টন ডি ককের অধীনে ছোট্ট ফরমেটের টি২০তে দক্ষিণ আফ্রিকার ভা-ারেও রয়েছে একঝাঁক প্রতিভাবান ক্রিকেটার। ব্যাটিংয়ে ডেভিড মিলার, টেম্ব বাভুমা এবং অধিনায়ক ডি ককের দায়িত্ব অনেক। বাকিরা তরুণ। কাগিসো রাবাদা, এ্যান্ডলে ফেকুওইয়ো, বুরান হেনড্রিক্স, তবারেজ শামসিদের নিয়ে বোলিং আক্রমণ বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। টি২০ শেষে সমান তিন ম্যাচের টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজে মুখোমখি হবে স্বাগতিক ভারত ও অতিথি দক্ষিণ আফ্রিকা।- See more at: http://www.dailyjanakantha.com/details/article/448160/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A7%87-%E0%A6%98%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%95#sthash.EMzZ4LPI.dpuf