রাজধানীর মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকার ‘ইয়াং ম্যান্স ক্লাব’র ক্যাসিনোতে (জুয়ার আসর) অভিযান চালিয়েছে র্যাব। পরে ক্যাসিনোর মালিক মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা করে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার-বিন-কাশেম আমাদের সময়কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সারোয়ার-বিন-কাশেম জানান, র্যাব-৩-এর ওই অভিযানে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকা থেকে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় একটি অবৈধ অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গের কারণে আরও দুটি অস্ত্র জব্দ করা হয়।
এর আগে আজ বিকেল থেকে ফকিরাপুল এলাকার ‘ইয়াং ম্যান্স ক্লাব’র ক্যাসিনোতে অভিযান শুরু করে র্যাব। এ সময় সেখান থেকে ১৪২ জনকে আটক করা হয় এবং প্রায় ২০ লাখ টাকা ও মাদক জব্দ করা হয়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান এখনো চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, যুবলীগের নেতৃত্বে থাকা কয়েকজন শীর্ষ নেতার তত্ত্বাবধানে ওই ক্লাবটিতে বানানো ক্যাসিনোতে নিয়মিত জুয়ার আসর বসে। এ বিষয়ে কয়েক বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মতিঝিল থানার পাশেই অবস্থিত ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবটি ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার জন্য ক্রীড়ামোদীদের কাছে পরিচিত হলেও এই ক্লাবে ক্যাসিনোর আদলে জুয়ার আসর পরিচালনার বিষয়টি স্থানীয়দের ভীষণ বিব্রত করত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই ক্লাবে কমিটিতে যুবলীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর ক্লাবে তাদের প্রভাব বাড়তেই থাকে। অভিযোগ রয়েছে, ক্লাবের ভেতর নিয়মিত মদ্যপানের আসর বসানোর পাশাপাশি হাউজি খেলা চালু করেন তারা। এরপর এখানে জুয়ার আসর অব্যাহতহারে বাড়তেই থাকে।