রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবে যুবলীগের কিছু নেতার পরিচালিত একটি ‘ক্যাসিনো’তে অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব। অভিযানে ক্যাসিনো থেকে নারী-পুরুষসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও আনুমানিক ২০ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেল থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে।

র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ক্লাবটিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালাচ্ছি। তিনি জানান, ক্লাবের ভেতরে বিপুল পরিমাণ টাকা জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা টাকাগুলো গোনা হচ্ছে।’

অভিযোগ রয়েছে, যুবলীগের নেতৃত্বে থাকা কয়েকজন শীর্ষ নেতার তত্ত্বাবধানে এই ক্লাবটিতে বানানো ক্যাসিনোতে নিয়মিত জুয়ার আসর বসে। এ বিষয়ে কয়েক বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।

মতিঝিল থানার পাশেই অবস্থিত ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবটি ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার জন্য ক্রীড়ামোদীদের কাছে পরিচিত হলেও এই ক্লাবে ক্যাসিনোর আদলে জুয়ার আসর পরিচালনার বিষয়টি স্থানীয়দের ভীষণ বিব্রত করত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই ক্লাবে কমিটিতে যুবলীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর ক্লাবে তাদের প্রভাব বাড়তেই থাকে। অভিযোগ রয়েছে, ক্লাবের ভেতর নিয়মিত মদ্যপানের আসর বসানোর পাশাপাশি হাউজি খেলা চালু করেন তারা। এরপর এখানে জুয়ার আসর অব্যাহতহারে বাড়তেই থাকে।

রাজধানীর গুলশানে আজ সন্ধ্যায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ এই ক্লাবের সভাপতি এবং জুয়া পরিচালনাকারীদের অন্যতম বলে অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পদ থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সভায় যুবলীগের কিছু নেতার কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর থেকেই যুবলীগের এসব নেতার ব্যাপারে খোঁজ-খবর শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।