কথায় আছে সব ভালো যার শেষ ভালো তার। এই শেষটা খুব ভালোভাবেই করেছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অবস্থা মলিন হলেও দেশটির অধিনায়ক তার দুই দশকের ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন রঙিন ভাবেই। সামনে থেকে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে নিজের ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসে জিম্বাবুয়েকে সাত উইকেটের বড় জয় এনে দেন তিনি।

ত্রি-দেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা তিন ম্যাচে হেরে জিম্বাবুয়ে ছিটকে গেছে আগেই। তাই আজ শুক্রবার জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান ম্যাচের কাগজে-কলমে কোনো গুরত্ব ছিল না। ম্যাচের মূল আকর্ষণ ছিলেন জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।

আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে গার্ড অব অনার দিয়েছে দুই দলের খেলোয়াড়রা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার সময় তাকে এই সম্মান জানানো হয়।

এর আগে টস জিতে আফগানিস্তান ১৫৬ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয়। দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ ও হজরতুল্লাহর ঝোড়ো ইনিংসে শুরুটা দুর্দান্ত হলেও শেষটা শুরুর মতো হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে আফগানরা আট উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে। সর্বোচ্চ ৪৭ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন রহমানুল্লাহ। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি করে চারও ছয়ের মারে। এ ছাড়া ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন হজরতুল্লাহ জাজাই। ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন মোহাম্মদ নবী ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। দুজনের ব্যাট থেকে আসে পাঁচ ও চার রান করে। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন এমপুফু। এ ছাড়া মাতুমবোডজি দুটি ও একটি করে উইকেট নেন জার্ভিস ও উইলিয়ামস।

টার্গেটে খেলতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে জিম্বাবুয়ে। ওপেনিংয়ে নেমে ৪২ বলে ৭১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তার ইনিংসটি সাজানাও ছিল পাঁচটি ছয় ও চারটি চারের মারে। দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। এ ছাড়া টেইলর ১৯ ও চাকাবা ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। উলিয়ামস ২১ ও মাতুমবোডজি ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

২০০১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের জার্সি গায়ে প্রথম খেলতে নামেন মাসাকাদজা। তখন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ছিল রঙিন। এখন দুর্নীতির অভিযোগের তাদের মাথায় ঝুলছে নিষেধাজ্ঞার খড়্গ। মাসাকাজা তার ক্যারিয়ারে ৩৮ টেস্টে ২২২৩, ২০৯ ওয়ানডেতে ৫৬৫৮ ও ৬৫ টি-টোয়েন্টিতে ১৫৯১ রান করেন।