ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার অনৈতিক কাজ ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা, পাঠাগার ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু।

এর আগে গত বুধবার খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশান ২-এ তার বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সেদিন বিকালে খালেদের ইয়ংমেন্স ক্যাসিনোতেও অভিযান চালান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ১৪২ জন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৩১ জনকে একবছর ও বাকি ১১১ জনকে ছয় মাস করে কারাদ- দেওয়া হয়। ক্যাসিনো থেকে প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ টাকা জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার, সিগারেটসহ নেশাজাতীয় বিভিন্ন দ্রব্য জব্দ করা হয় ওই।

খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করে র‌্যাব। এ ছাড়া মতিঝিল থানায় মাদক আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র ও মাদকের মামলায় খালেদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অপরাধে গ্রেপ্তার খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রাজধানীর নিকেতনে নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয়ে আটক জিকে শামীম যুবলীগের কেউ নন বলে জানিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। জিকে শামীম যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বলে লোকমুখে শোনা গেলেও যুবলীগের চেয়ারম্যানের দাবি, শামীম যুবলীগের কেউ নয়। তার (শামীম) সঙ্গে যুবলীগের কোনো সম্পর্ক নেই।