রাজবাড়ী জেলার ৮৫ কিলোমিটার অংশে রয়েছে প্রমত্তা পদ্মা। পদ্মায় আকষ্মিক পানি বৃদ্ধির সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণবাতৎ। এতে তীরবর্তী একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সেখানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

এদিকে ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

এছাড়া নদী তীরবর্তী স্কুলগুলোতে ভাঙন আতংকে কমে গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। উদ্বগে আছেন র শিক্ষক-অভিভাবকরা। অসময়ে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও ভাঙন আতংকে রয়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

rajbari1

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে হঠাৎ পদ্মায় পানি বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে দেখা দেয় তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণাবাত। এতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনশেড ভবনের একাংশ, গোদার বাজার এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজের প্রায় ৭০ মিটার, চরধুঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে বাঁধের সংস্কার কাজ ও গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলার অন্তারমোড় এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে ওইসব স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে পাউবো।

মহাদেবপুর ও গোদার বাজার এলাকার বাসিন্দারা জানান, পদ্মায় হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন নদীতে চলে গেছে। অবশিষ্ট অংশ রক্ষায় পাউবো কাজ করছে।বিদ্যালয়টি রক্ষা পেলে যেমন তাদের সন্তানরা পড়াশুনা করতে পারবে, তেমনি ভাঙনের হাত থেকে বাঁচবে এলাকা। তবে ভাঙন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ চান তারা। পাউবো যে বালুর বস্তা ফেলছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

rajbari1

রাজবাড়ী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে ভাঙন রোধে ওইসব স্থানে তাৎক্ষণিক কাজ শুরু করেছেন তারা। ভাঙন রোধে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে তাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে।